|
|
|
|
মেদিনীপুর টাউন স্কুল |
মনোনয়ন জমার সুযোগই মেলেনি, সরব শিক্ষকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পরিচালন সমিতির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিরোধ বাধল সহ-শিক্ষকদের। ঘটনাটি মেদিনীপুর টাউন স্কুলের (বালক)। সহ-শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের অসহযোগিতায় তাঁরা মনোনয়নপত্র জমাই দিতে পারেননি। যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, চার জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও গিয়েছেন। ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা অবশ্য জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। জেলা স্কুল পরিদর্শক সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”
যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে চেয়েছিলেন, তেমনই এক শিক্ষিকা স্মৃতিকণা সেনগুপ্ত রায় বলেন, “সোমবার সকাল থেকেই প্রধান শিক্ষক স্কুলে ছিলেন না। বিকেল তিনটে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য স্কুলে ছিলাম। প্রধান শিক্ষক না থাকায় মনোনয়ন জমা না দিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে শিক্ষকতা করছি। এমন ঘটনা প্রথম দেখলাম।” প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী স্কুলে না থাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।” প্রধান শিক্ষকের দাবি, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে রাজবল্লভ দে, শিশিরকুমার সিংহ, প্রবীরকুমার মিস্ত্রি ও শিক্ষাকর্মী দীপক চক্রবর্তী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
মেদিনীপুর টাউন স্কুলে পরিচালন সমিতির সদস্য ১৪ জন। ৬ জন অভিভাবক প্রতিনিধি, ৪ জন শিক্ষক প্রতিনিধি (১ জন শিক্ষাকর্মী)। বাকি ৪ সদস্য মনোনীত। অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হওয়ার কথা ২২ সেপ্টেম্বর। তার আগেই শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতদিন অবশ্য আলোচনার ভিত্তিতে শিক্ষক প্রতিনিধিরা মনোনীত হতেন। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, “শনিবারই প্রধান শিক্ষকের কাছে মনোনয়ন পত্র চাইতে গিয়েছিলাম। তিনি মনোনয়নপত্র দেওয়ার পরিবর্তে দুর্ব্যবার করে তাঁর ঘর থেকে বের করে দেন।” যদিও প্রধান শিক্ষক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শনিবার দুপুর ২টোয় দেওয়া নোটিস অনুযায়ী, সোমবার সকাল ১১টা থেকে ২টো পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন জমার সময়। মঙ্গলবার স্ক্রুটিনি। বুধবার মনোনয়ন প্রত্যাহার। আগামী শনিবার সকাল ১১টা থেকে ২ টো পর্যন্ত নির্বাচন। ভোটার সংখ্যা ৩৯ জন। ভোটার তালিকাও চূড়ান্ত করে ফেলা হয়। নির্বাচনে যোগদানে উত্সাহী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী জহরলাল পৈড়া, সব্যসাচী দাস, সৌমেন্দ্র সাউয়েরা বলেন, “স্কুলে গিয়ে দেখি প্রধান শিক্ষক নেই। তাঁর ঘরও বন্ধ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। বিকেল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দেখা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাই। যাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন, বন্ধ ঘরে কী ভাবে তাঁরা মনোনয়ন জমা দিলেন বুঝতে পারছি না।” জেলা স্কুল পরিদর্শক অবশ্য খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|