জাল নোট দিয়ে জিনিস কিনে ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কয়েক দিন আগে পাঁচশো টাকার জাল নোট দিয়ে মুদিখানার মালপত্র নিয়ে গিয়েছিল এক ব্যক্তি। দ্বিতীয় বার একই কায়দায় আর একটি ৫০০ টাকার জাল নোট দিয়ে ওই একই দোকান থেকে জিনিস কিনতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল সে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করল আরও ১৫টি ৫০০ টাকার জাল নোট এবং ওই মাপের প্রচুর সাদা কাগজ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি কোনও জাল নোট তৈরির চক্রের সঙ্গে জড়িত। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল নোট ছাপার কারখানার খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবপুরের আন্দুল রোডে বন্ধ হয়ে যাওয়া গেস্টকিন উইলিয়াম্স কারখানার পাশে একটি মুদির দোকান থেকে এক ব্যক্তি কিছু দিন আগে ৫০০ টাকা দিয়ে কিছু মালপত্র কিনে নিয়ে যান। মুদিখানার মালিক পরে বুঝতে পারেন, নোটটি জাল। ঘটনাটি তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। তাঁরা দোকান মালিককে পুলিশের সাহায্য নিতে বলেন।
এলাকাবাসীদের কথা মতো মুদিখানার মালিক পুলিশকে ঘটনাটি বিস্তারিত জানান। এর পরেই পুলিশ নজরদারি শুরু করে। রবিবার রাতে ওই ব্যক্তি ফের একই কায়দায় জাল নোট দিয়ে জিনিস কিনতে এলে সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ৫০০ টাকার নোটটি জাল। তখন পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জেরা করার জন্য থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম স্বপন নায়েক। নাজিরগঞ্জ থানা এলাকার চাঁদমারি রোডের একটি আবাসনে থাকে সে। ওই রাতেই পুলিশ ওই আবাসনের চারতলায় স্বপনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ১৫টি জাল ৫০০ টাকার নোট এবং একই মাপের প্রচুর কাগজ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি কোনও জাল নোট তৈরির চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ৫০০ টাকার মাপের সাদা ওই কাগজগুলি জাল নোট ছাপার জন্য ব্যবহার করা হত কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য ধৃতের পুলিশি হেফাজত চেয়ে সোমবার তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়।
হাওড়ার এডিসি (দক্ষিণ) অঞ্জলি সিংহ বলেন, “ধৃতের কাছে প্রচুর জাল নোট পাওয়া গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।” |