টুকরো খবর |
সমুদ্রেই অনড় নিম্নচাপ, বৃষ্টি চলবে আজও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আগের নিম্নচাপটি দ্রুত ভিন্ রাজ্যে সরে গিয়েও ভুগিয়েছিল বেশ কয়েক দিন। অন্ধ্র উপকূলে তৈরি হওয়া নতুন নিম্নচাপটি সরে যাওয়া তো দূরের কথা, সমুদ্র ছেড়ে নড়ছেই না। সেখান থেকেই সে বৃষ্টি নামিয়ে চলেছে এবং আরও কয়েক দিন ভোগাবে বলেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, নিম্নচাপ যত দ্রুত স্থলভূমিতে ঢোকে, তত দ্রুত দুর্বল হয়। এ বারের নিম্নচাপটির চার দিকে বায়ুপ্রবাহের যা অবস্থা, তাতে সে কবে স্থলভূমিতে ঢুকবে, বলা মুশকিল। সে যত দিন সমুদ্রে থাকবে, তার প্রভাবে সক্রিয় থাকবে মৌসুমি বায়ুও। দফায় দফায় বৃষ্টি হবে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। সোমবার শহরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। আজ, মঙ্গলবারেও আবহাওয়া একই রকম থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, কিছু কিছু নিম্নচাপ সহজে স্থলভূমিতে ঢুকতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রেই শক্তি বাড়িয়ে তারা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। অথবা পুরো শক্তি হারাতে অনেকটা সময় নেয়। আবার নিম্নচাপ বিদায় নিলেও তার থেকে তৈরি ঘূর্ণাবর্তটি পরিমণ্ডলে থেকে গিয়ে জলীয় বাষ্প টেনে বৃষ্টি নামায়। এ বারের নিম্নচাপটি তেমনই। তার প্রভাবও বেশি দিন থাকবে। |
এটিপিতে জমা হবে বিদ্যুতের বিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিদ্যুতের বিল জমা দিতে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না বিহারে। এটিএম-এর ধাঁচে তৈরি বিশেষ যন্ত্রে টাকা জমা দিতে পারবেন গ্রাহকরা।
বকেয়া আদায়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘এনি টাইম পেমেন্ট’ (সংক্ষেপে এটিপি) নামে এমনই একটি যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থা। শুধু এটিপি নয়, বিশেষ একটি মোবাইল পরিষেবা সংস্থার মোবাইল থেকেও বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার সুবিধা মিলবে। বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তারা জানান, পুজোর পরই রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় এটিপি যন্ত্র বসানো হবে। ‘বিহার রাজ্য পাওয়ার হোল্ডিং কোম্পানি’র অধীনে রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ বিহার বিদ্যুৎ পরিবহণ সংস্থা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, তারাই ওই ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্যেই পটনায় ২০টি এটিপি যন্ত্র বসানো হয়েছে। সেখানে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিল জমা দেওয়া যাবে। বিশেষ ওই মোবাইল পরিষেবা সংস্থার ফোনের সংযোগ না-থাকলেও অন্যের মোবাইল থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে পারবেন গ্রাহকরা। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা পঞ্চায়েতের কম্পিউটার থেকে ‘অন-লাইনে’ বিল জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। বিহারের বিদ্যুৎ সংস্থার মুখপাত্র এইচ আর পাণ্ডে বলেন, “বিল জমা দিতে গ্রাহকদের লাইনে দাঁড়ানোর হয়রানি কমাতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। আপাতত পটনায় ওই সুবিধা পাওয়া গেলেও, রাজ্যের অন্য প্রান্তে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।” |
কুশপুতুল পোড়ানোর প্রতিযোগিতা শিলচরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বরাক উপত্যকায় তিন দিন ধরে চলছে কুশপুতুল পোড়ানোর প্রতিযোগিতা। এক দিকে, কাটলিছড়ার কংগ্রেস বিধায়ক ও রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী গৌতম রায়ের কুশপুতুল পোড়াচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। অন্য দিকে, বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের পুতুলে আগুন দিচ্ছেন মন্ত্রীর সমর্থকরা। ঘটনার শুরু ৬ সেপ্টেম্বর। বিজেপি যুব মোর্চার হাইলাকান্দি জেলা কমিটি বাইক র্যালির আয়োজন করেছিল। স্থানে স্থানে দলীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করছিলেন। কাটলিছড়ায় এ ধরনের এক সভা চলাকালীন লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয় এক দল লোক। বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিমল শুক্লবৈদ্যও হামলার মুখে পড়েন। পরে দলের পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়। হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেস সভাপতি অশোক দত্তগুপ্তের দাবি, কংগ্রেসিরা হামলা করেনি। গৌতমবাবুর নামে নাগাড়ে আবোলতাবোল কথা শুনতে শুনতে কিছু মানুষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। তারই প্রতিফলন ওই ঘটনা।
বিজেপি যুব মোর্চার সভায় হামলার প্রতিবাদে শনিবার থেকে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে গৌতমবাবুর কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছে। কাল পাল্টা অভিযানে নামে কংগ্রেসিরা। অবশ্য স্থানীয় বিজেপি নেতাদের নয়, বেছে নেওয়া হয় বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী ও লালকৃষ্ণ আডবাণীকে। আজও উভয়পক্ষের কুশপুতুল পোড়ানো কর্মসূচি পালিত হয়। |
ভোটের কৌশল ছকতে সম্মেলন করবেন নীতীশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
লোকসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে রাজ্য সম্মেলন করতে চলেছে জেডিইউ। দলীয় সূত্রের খবর, অক্টোবর মাসে রাজগীরে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক আঁতাত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেখানেই। সরাসরি এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আজ পটনায় জনতার দরবারে তিনি শুধু বলেছেন, “সম্মেলন নিয়েই এখন দলের সবাই ব্যস্ত। কারও কাছেই এ সব ভাবার সময় নেই। অক্টোবরের সম্মেলনে সকলের মতামত নিয়ে এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।” নির্বাচনী আঁতাত গড়তে নীতীশ কংগ্রেসের দিকে এগতে পারেন বলে মনে করছে তাঁর এক সময়ের ‘বন্ধু’ বিজেপি। নীতীশ অবশ্য এখনও এ নিয়ে কোনও সূত্র দিতে নারাজ। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আরজেডি প্রথম থেকেই কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারকে সমর্থন জানিয়ে চলেছে। বিহারে নীতীশের বিরোধী লালুপ্রসাদের দল। বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্কছেদের পর রাজনৈতিক যোগ-বিয়োগে নীতীশের সরকারে সমর্থন দিয়েছেন কংগ্রেসের চার বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে বিহারের রাজনৈতিক জোট-ছবি কেমন হতে চলেছে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। |
আত্মসমর্পণ ১৫৫ জঙ্গির
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মণিপুরের মুখমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করল চারটি জঙ্গি সংগঠনের ১৫৫ জন জঙ্গি। তাদের মধ্যে ১৪৭ জন কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির নোংদ্রেনখোংবা গোষ্ঠী, কুকি ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট এবং কুকি রেভেলিউশনারি ফ্রন্টের সদস্য। বাকি ৮ জন কেওয়াইকেএল জঙ্গি। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিরা ৯৫টি বিভিন্ন রকমের আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে। প্রশাসনের হিসেবে, ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০টির বেশি জঙ্গি সংগঠন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করল। এখনও প্রায় চল্লিশটি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়। মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ সেই সব জঙ্গি সংগঠনকেও শান্তির পথে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। |
যুবতী খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
তিনিসুকিয়ায় এক যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে মার্ঘারিটার নামদাং চা বাগানে ললিতা কর্মকারের বাড়িতে চড়াও হয় সঞ্জীব বরদলৈ। অভিযোগ, অস্ত্র দেখিয়ে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায় সঞ্জীব। পরে ললিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ চা বাগান থেকে উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যুবতীকে ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার কথা ছড়াতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত পলাতক। |
সন্তানদের ডিএনএ রিপোর্ট পেল পরিবার |
মুম্বইয়ে নৌসেনা ঘাঁটিতে সাবমেরিন বিস্ফোরণে ছেলেদের মৃত্যুর খবর এসেছিল আগেই। কিন্তু আগুনে দেহগুলি ঝলসে যাওয়ায় চেনার উপায় ছিল না। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে সন্তানদের দেহ সৎকারের ব্যবস্থা শুরু করলেন অসমের তিমোথি সিংহ এবং নরোত্তম দেউরির পরিবার। মৃত্যুর খবর পাওয়ার ২৫ দিন পর। ১৪ অগস্ট ‘আইএনএস সিন্ধুরক্ষক’ সাবমেরিনে বিস্ফোরণে ১৮ জন নৌ-সেনার মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তিমোথি, নরোত্তম। ১৭ অগস্ট থেকে পরীক্ষাগারে তাঁদের দেহাংশের ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। আজ তার চূড়ান্ত ফলাফল জানানো হয়। এ বার তিমোথি ও নরোত্তমের পরিবার ওই দেহাংশ অসমে নিয়ে গিয়ে সৎকার করবেন। তিমোথির বাড়ি শিলচরের পয়লাপুল গ্রামে। নরোত্তম থাকতেন লখিমপুর জেলার নারায়ণপুর। নরোত্তমের বাবা জ্যোতিষচন্দ্র দেউড়ি জানিয়েছেন, নৌসেনার তরফে দেহাংশগুলি তাঁদের দেখানো হয়নি। তা কফিনবন্দি অবস্থায় দুই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। |
পুরনো খবর: সিন্ধুরক্ষক থেকে উদ্ধার আরও এক নাবিকের দেহ |
পৌঁছলেন গোলাপি মণ্ডল |
|
ছবি: উজ্জ্বল দেব |
অবশেষে গুয়াহাটিতে মেয়ের কাছে পৌঁছলেন উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ে মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলা গোলাপি মণ্ডল। সংবাদমাধ্যমের খবরের জেরেই অসমে গুয়াহাটির লাল গণেশ এলাকায় তাঁর বড় মেয়ে অলকার খোঁজ মিলেছে। সোমবার গুয়াহাটি স্টেশনে সেই মেয়েকে দেখেই তিনি বলে ওঠেন, “এত দিন কোথায় ফেলে রেখেছিলি? বাড়ি চল।” অলকা অবশ্য জানিয়েছেন, পাকাপাকি ভাবে মায়ের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর বা ছোট বোনের নেই। একমাত্র ভাই মায়ের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে গিয়ে আর ফেরেনি। যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই ক’দিন গোলাপিদেবীর দেখভাল করেছে, তারা বৃদ্ধাবাসের সন্ধান করছে। |
আজ রায়ের আশা |
দিল্লিতে চলন্ত বাসে প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় মঙ্গলবার রায় দিতে পারে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। মামলার চার অভিযুক্ত মুকেশ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর ও পবন গুপ্তের ভাগ্য নির্ধারিত হবে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক যোগেশ খন্নার আদালতে। মামলার একমাত্র নাবালক অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই শাস্তি দিয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। |
প্রথম স্থানে ত্রিপুরা |
সাক্ষরতার হারে দেশের প্রথম স্থান দখল করল ত্রিপুরা। রাজ্যে সাক্ষরতার হার ৯৪.৬৫ শতাংশ। ৯৪ শতাংশ সাক্ষরতার হার নিয়ে এত দিন কেরল ছিল দেশের শীর্ষে। তাকেও ছাড়িয়ে গেল ত্রিপুরা। ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই তথ্য জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যের জনগণনায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ রাজ্যে সাক্ষরতার হার ছিল ৮৭.২২ শতাংশ। দেশের মধ্যে সে সময়ে ত্রিপুরার স্থান ছিল পঞ্চম। |
লস্কর নেতা ধৃত |
জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা জেলা থেকে লস্কর-ই-তইবার এক নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, কুপওয়ারার বাসিন্দা মনজুর ওরফে শামস ভাই কাশ্মীরে লস্করের কাজকর্ম সমন্বয়ের কাজ করত। । গত কয়েক বছর ধরে সোপোরে সক্রিয় ছিল সে। |
পুজোয় বিশেষ ট্রেন |
উৎসবের মরসুমে ৭৩ জোড়া ‘পুজো স্পেশ্যাল’ ট্রেন চালাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। অতিরিক্ত ট্রেনগুলি চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অতিরিক্ত ট্রেন চলছে সাঁতরাগাছি-পুরী, শালিমার-যশোবন্তপুর, সাঁতরাগাছি-আনন্দবিহার, সাঁতরাগাছি-কচুভিলা, শিয়ালদহ-পুরী, টাটানগর-ভাগলপুর, হাতিয়া-যশোবন্তপুর ও রাঁচি-কাটিহার রুটে। অতিরিক্ত ট্রেন ৭ সেপ্টেম্বর থেকেই চলাচল করছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর। |
|