গত নভেম্বর ও মার্চে টুজি মোবাইলের জন্য স্পেকট্রাম নিলামে ন্যূনতম দর এতটাই বেশি ছিল যে, তা বিক্রিতে তেমন সাড়া পায়নি কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর। পূরণ হয়নি নিলাম থেকে রাজকোষ ভরার লক্ষ্যমাত্রাও। তাই এ বার বাকি স্পেকট্রাম নিলামের জন্য ওই দর এক ধাক্কায় প্রায় ৬০% পর্যন্ত কমানোর সুপারিশ করল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। নিলামে জেতা স্পেকট্রাম ব্যবহারের মাসুলও সব সংস্থার জন্যই বছরে ৩ শতাংশে স্থির করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। আগে তা বিভিন্ন সংস্থার ঝুলিতে থাকা স্পেকট্রামের ভিত্তিতে ধরা হত ৩ থেকে ৮%।
সোমবার ট্রাই সারা দেশে ১৮০০ ব্যান্ডের জন্য প্রতি মেগাহার্ৎজে স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর ১,৪৯৬ কোটি টাকায় বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। আগের দফার নিলামের তুলনায় যা ৩৭% কম। ৯০০ ব্যান্ডের ক্ষেত্রে সুপারিশ, কলকাতায় মেগাহার্ৎজ পিছু ন্যূনতম দর বেঁধে রাখা হোক ১০০ কোটি টাকায়। দিল্লি ও মুম্বইয়ে যথাক্রমে ২৮৮ কোটি ও ২৬২ কোটি টাকায়। আগের নিলামের থেকে এই হারগুলি প্রায় ৬০% কম। ৯০০ ও ১৮০০, দু’টি ব্যান্ড মারফতই জিএসএম প্রযুক্তিতে টুজি মোবাইল পরিষেবা দেওয়া হয়।
আগের দু’দফার নিলামেই ওই দর বেশি ছিল জানিয়ে এ দিন ট্রাই চেয়ারম্যান রাহুল খুল্লার বলেন, “নিলাম সফল করতেই দাম কমিয়েছি।”
অন্য দিকে, ভোডাফোন, এয়ারটেলের মতো কিছু সংস্থার ক্ষেত্রে ৯০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের স্পেকট্রামের একাংশ হাতে রেখে দেওয়ার যে-নীতি রয়েছে, এ দিন তা বাতিলের প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। নতুন টেলি সংস্থাগুলি এই সুবিধা পায় না। প্রস্তাব কার্যকর হলে, এয়ারটেল ও ভোডফোনকেও স্পেকট্রাম ধরে রাখতে নিলামে অংশ নিতে হবে।
এ দিন ট্রাইয়ের প্রস্তাবগুলিকে স্বাগত জানান টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বল। তাঁর মতে, সেগুলি যুক্তিসম্মত ও বাস্তবোচিত। খুশি টেলিকম শিল্পের একাংশও। সেগুলিকে শিল্প সহায়ক তকমা দিয়ে তারা জানিয়েছে, “এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। যুক্তিসঙ্গত দরে স্পেকট্রাম কিনতে পারবে তারাও।”তবে ন্যূনতম দর আরও কমানোর দাবি তুলেছে জিএসএম পরিষেবা সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই। সংগঠনের ডিরেক্টর জেনারেল রাজন এস ম্যাথুজ বলেন, “ট্রাই ঠিক পথেই হাঁটছে। তবে তাদের প্রস্তাবিত ১৮০০ মেগাহার্ৎজের দর বাজার দরের কাছাকাছি। আন্তর্জাতিক মাপকাঠি অনুযায়ী ন্যূনতম দর বাজার দরের ৩০% হওয়া উচিত।” |