বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এ বার আইনি পদক্ষেপ করছে বাংলাদেশ সরকার। বিদেশি মুদ্রায় ইউনূসের আয় নিয়ে গত বছর অগস্টে তদন্ত শুরু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেই তদন্ত রিপোর্টেই বিপুল কর ফাঁকির অভিযোগ করা হয়েছে। রিপোর্টটি জমা পড়ার পর আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নোবেলজয়ীকে আইনমাফিক শাস্তি দেওয়ার পথেই হাঁটবে সরকার।
গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে তিন বছর আগে সরিয়ে দেওয়া হয় ইউনূসকে। এর পর থেকে নানা ঘটনায় বর্তমান সরকারের সমালোচনায় মুখ খুলেছিলেন তিনি। ইউনূসের ঘনিষ্ঠদের দাবি, তার বদলা নিতেই সরকারের এই পদক্ষেপ। কর ফাঁকির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন এই নোবেলজয়ী। তাঁর সচিব এক
বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যে টাকা ইউনূস বিদেশ থেকে এনেছেন, সবই এসেছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। ফলে সন্দেহের কোনও জায়গাই নেই।
মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোশারফ হুসেন ভুঁইয়া জানিয়েছেন, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পরিচালনার দায়িত্বে থাকার সময়, ২০০৪ থেকে ২০১১-এর মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূস একাধিক বার বিদেশ গিয়েছেন। সেই সব সফরে বক্তৃতা দিয়ে, পুরস্কার হিসাবে বা বইয়ের রয়্যালটি বাবদ ৫০ কোটিরও বেশি টাকা আয় করেছিলেন তিনি। রাজস্ব বোর্ডের অভিযোগ, তা থেকেই অবৈধ ভাবে ১২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার আয়কর-ছাড় নিয়েছিলেন ইউনূস। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিধি ভেঙে ইউনূস যে ব্যাঙ্কের বিপুল পরিমাণ অর্থ তার একটি শাখা সংস্থায় সরিয়েছিলেন, তদন্তে এমন প্রমাণও পেয়েছে রাজস্ব বোর্ড। ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত ইউনূস গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সিইও ছিলেন, সে সময় সরকারেরও শেয়ার ছিল
ব্যাঙ্কে। রাজস্ব বোর্ডের অভিযোগ, সরকারি কর্তা হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা আনার আগে সরকারের সম্মতি নেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও ইউনূস সে পথে হাঁটেননি। |