বিকল সার্ভারের গেরোয় বেতন পাচ্ছেন না বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কালনা মহকুমায় ট্রেজারির সার্ভার বিকল হয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসায় পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন মাস পয়লায় বেতন হবে স্কুল শিক্ষকদের। মাঝে টুকরো সমস্যা ছাড়া সেই নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ চলছিল। সমস্যা প্রবল হয়েছে সেপ্টেম্বরে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা মহকুমার পাঁচটি ব্লকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩২। রয়েছেন চার হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষিকা। নিয়ম অনুযায়ী কোনও মাসের এক তারিখ রবিবার হলে বেতন মেলে পরের দিন। এই মাসেও এক তারিখ ছিল রবিবার।
বেতন মেলার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু সোমবার থেকেই বিকল মহকুমা ট্রেজারি ভবনের অনলাইন সার্ভার ব্যবস্থা। ফলে আটকে গিয়েছে শিক্ষকদের বেতন। এই মাসেই একই সমস্যায় পড়েছিল বর্ধমান ট্রেজারিও। কিন্তু সেখানে দ্বিতীয় সার্ভারের মাধ্যমে সমস্যা কিছুটা মেটানো গিয়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইন পদ্ধতিটি পরিচালনা করে কলকাতার ডাইরেক্টর অফ ট্রেজারি। সাধারণত মাসের ১০ তারিখের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন সংক্রান্ত নথি স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে সেই নথি যায় মহকুমা ট্রেজারি দফতরে। ট্রেজারিগুলি চেক মারফত টাকা পাঠায় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে। এরপর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন চলে যায়। পুজোর আগে বেতন না মেলায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কালনা মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়নাল আবেদিন বলেন, “পুজোর কেনাকাটা করতে পারছি না।” নাদনঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক অরূপ চৌধুরী বলেন, “বর্ধমানের শিক্ষক শিক্ষিকাদের একই সমস্যা হলেও তাঁরা বেতন পেয়েছেন। আমরা এখনও পাইনি।”
সমস্যার কথা স্বীকার করে কালনা মহকুমার সহকারী স্কুল পরিদর্শক বীথিকা ভট্টাচার্য বলেন, “অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কিন্তু বিষয়টি আমাদের হাতে নেই।” কালনার মহকুমা শাসক শশাঙ্ক শেঠী বলেন, “চেষ্টা চলছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিষয়টির সমাধান করার।” |