এক তরুণীকে খুনের অভিযোগে রবিবার গভীর রাতে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া থেকে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত তনুশ্রী মণ্ডলকে সোমবার কাটোয়া এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম অঞ্জনা লাহা (২৬)। চার বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানের কলানবগ্রামে। বাপেরবাড়ি বর্ধমানের বেলনা গ্রামে। তাঁর চার বছরের একটি সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এসে বেশ কিছু দিন ধরে তিনি শিমুলিয়া গ্রামে থাকছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গ্রামে কেশব বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে অঞ্জনার সম্পর্ক ছিল। কাটোয়া মহকুমার এক পুলিশকর্তা বলেন, “অঞ্জনা ও কেশব কাটোয়া শহরে একটি মন্দিরে সিঁদুরদান করেন। তার পর থেকে তাঁরা এক সঙ্গে থাকতেন। তাঁদের মধ্যে ১০-১২ বছরের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে।”
অঞ্জনার বাবা নীহাররঞ্জন মণ্ডল জানান, মেয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ বলে মেমারি থানায় একটি ডায়েরি করা হয়েছিল। রবিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে অঞ্জনার দেহ মেলে। নীহাররঞ্জনবাবু মঙ্গলকোটের কৈচর ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন, কেশব বিশ্বাস, তাঁর দিদি তনুশ্রী মণ্ডল-সহ পরিবারের অন্য সদস্যেরা তাঁর মেয়েকে খুন করে মর্গে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে। এর পরেই তনুশ্রীদেবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। |