|
|
|
|
বোর্ড গড়েও চাপে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
তালগাছাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে আদালতে জোড়া ধাক্কা খেল তৃণমূল।
সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যদের অনুপস্থিতিতে গত ২৯ অগস্ট রামনগর ২ ব্লকের তালগাছাড়ি ২ পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল। সেদিন রামকৃষ্ণ সরকার ও অমরেন্দ্র ভঞ্জ নামে যে দুই সিপিএম সদস্যকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল, শনিবার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে কাঁথি আদালত। এ দিকে, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে সমস্ত সদস্যের বাধ্যতামূলক উপস্থিতির যে নির্দেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তা খারিজের আবেদন জানিয়ে তালগাছাড়ি ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিশ্বজিৎ জানা-সহ কয়েকজন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে পুরনো রায়ের পক্ষে সওয়াল করেছে। তবে, তালগাছাড়ি পঞ্চায়েতে সমস্ত সদস্যকে নিয়ে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া নতুন করে হবে কি না, জানা যাবে আগামী সপ্তাহে এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত রায়ের পরেই। ১২ আসনের তালগাছাড়ি ২ পঞ্চায়েতে ৬টি করে আসন পেয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল। মহিলা তফসিলি সংরক্ষিত প্রধান পদ নিয়ে দু’দলের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। ১৭ অগস্ট, বোর্ড গঠনের দিনে এই নিয়ে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে বোর্ড গঠন বাতিল হয়ে যায়। ২৯ অগস্ট ফের পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন সিপিএমের তিন পঞ্চায়েত সদস্য গ্রেফতার হন। এক জন জামিনে মুক্তি পেলেও রামকৃষ্ণবাবু ও অমরেন্দ্রবাবুর জেল হাজতের নির্দেশ হয়। সিপিএম সদস্যদের অনুপস্থিতিতেই সে দিন বোর্ড দখল করে তৃণমূল। রামনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক স্বদেশ নায়ক বলেন, “তৃণমূল বোর্ড দখল করার জন্য যা ইচ্ছে তাই করেছে। শুধু পঞ্চায়েত সদস্যই নয়, আমাকে নিয়ে দলের ৫১ জনের বিরুদ্ধে লুঠপাট, মারধরের অভিযোগ করে রেখেছে। তবে, আমরাও ছাড়ব না। আদালত আছে।”
|
পুরনো খবর: অশান্তির আবহেই বোর্ড গঠন, পঞ্চায়েতে আধিপত্য তৃণমূলের |
|
|
|
|
|