আজারেঙ্কাকে প্রতিটা গ্র্যান্ড স্ল্যামেই আগেরটার চেয়ে উন্নত লাগে আমার। অন্য অনেক মেয়ের মতো টেনিসে ও দুম করে র্যাঙ্কিংয়ে উঁচুতে উঠে আসেনি। ধাপে-ধাপে উঠে আপাতত দু’টো গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব ওর ঝুলিতে। রবিবার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ফাইনালে নামবে তিন নম্বর খেতাবের লক্ষ্যে। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পারফর্মার। এবং মেয়েদের ট্যুরে অন্য যারা প্রতিটা শট নেওয়ার সময় কোর্টে ঘোঁতঘোঁত আওয়াজ করে, তাদের চেয়ে অনেক বেশি শান্ত স্বভাবের প্লেয়ার। ফ্লাশিং মেডোয় পেনেত্তার এ বারের স্বপ্নের দৌড় সেমিফাইনালে ৬-৪, ৬-২’এ থামিয়ে দিয়ে আজারেঙ্কার চূড়ান্ত যুদ্ধ এ বার সেরেনা উইলিয়ামসের সঙ্গে। ঠিক গত বারের ফাইনালের মতোই।
জানি, আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আজারেঙ্কার চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী একজন ভয়ঙ্কর প্লেয়ার। নিজের শহরে তো আরওই। তবে যেহেতু সেরেনার সঙ্গে নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড স্ল্যামে লড়ার অভিজ্ঞতা আছে আজারেঙ্কার, সে জন্য আজকের ফাইনালে বেলারুশের লম্বা-চওড়া মেয়েকে আমি একেবারে মুছে ফেলতে পারছি না। লি না-কে সেমিফাইনালে সেরেনার ৬-০, ৬-৩ উড়িয়ে দেওয়া দেখার পরেও না। গত বারের ফাইনালের রি-ম্যাচ আজ। কিন্তু শেষ বারো মাসে আজারেঙ্কার খেলা অনেক পরিণত হয়েছে। ফাইনালে ওঠার পথে কর্নেট, ইভানোভিচের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জকে সফল ভাবে টপকানোয় আমার মনে হচ্ছে, আজারেঙ্কা আসল ম্যাচটায় মানসিক ভাবে যথেষ্ট কাঠিন্য নিয়ে কোর্টে আবির্ভূত হবে। তবে সেরেনার এই টুর্নামেন্টে সার্ভিসে সাফল্যের শতাংশ যে রকম অসাধারণ, ফাইনালেও সে রকম ভয়ঙ্কর সার্ভিস করলে আজারেঙ্কার জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। ছ’টা ম্যাচে মাত্র ১৩টা গেম হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। আর আমরা সবাই জানি, সেরেনা যখন দুর্দান্ত সার্ভ করে, তখন ও প্রায় সব সময় জেতে। প্রায়!
|
চার ঘন্টার ওপর পাঁচ সেট লড়াই করে সুইজারল্যান্ডের স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কাকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠলেন বিশ্বের এক নম্বর নোভাক জকোভিচ। ফল ২-৬, ৭-৬(৭-৪), ৩-৬, ৬-৩, ৬-৪। প্রথম সেটে প্রচুর ভুল করে হারের পরই নড়েচড়ে বসেন নোভাক। দ্বিতীয় সেট টাই ব্রেকারে জিতলেও খেলায় যে পুরোপুরি ফিরতে পারেননি, তা বোঝা যায় তৃতীয় সেটেই, ওয়ারিঙ্কা জেতায়। শেষ দু’টি সেটে ওয়ারিঙ্কা চাপের মুখে ভেঙে পড়েন। ম্যাচের মাঝখানে ‘মেডিক্যাল ব্রেক’ নেন ওয়ারিঙ্কা। |