সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার মানেই আমেরিকায় শ্রমিক দিবস। এবং সকালটা দেখেই যেন বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে আজকের দিনটা প্লেয়ারদের কাছে যথেষ্ট খাটুনির যাবে!
ফ্লাশিং মেডোর ইতিহাসে রাফা-রজার প্রথম সাক্ষাৎ থেকে দুই প্লেয়ার এক কদম পিছনে। রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল দু’জনেরই এ দিন চতুর্থ রাউন্ড। জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে ঐতিহাসিক মুখোমুখি। ন’বছরে ৩১ বার সাক্ষাত ঘটেছে। কোনও দিন এত তাড়াতাড়ি নয়। কিন্তু নিউইয়র্কের বৃষ্টিতে রাফা-রজার নিজেদের প্রি-কোয়ার্টারই আজ শেষ করতে পারবেন কি? শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দিন মাত্র একটাই খেলা শেষ হতে পেরেছে প্রকৃতির রক্তচক্ষু সামলে। যেখানে এ বারের মেয়েদের সিঙ্গলসে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখলেন ফ্লাভিয়া পেনেত্তা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইতালীয় তাঁরই দেশের চমক জাগানো তরুণী ক্যামিলা জিওর্জিকে (যিনি আগের ম্যাচে প্রাক্তন বিশ্বসেরা ওজনিয়াকিকে ছিটকে দেন) ৬-৪, ৬-৩ হারিয়ে শেষ আটে সেরেনা, লি না, নাভারো, মাকারোভাদের সঙ্গী হলেন। |
তবে সেখানে সেরেনাই আলোচনার কেন্দ্রে। গত রাতে স্বদেশীয় মার্কিন স্লোয়ানে স্টিফেন্সকে ৬-৪, ৬-১ চুরমার করে হটফেভারিট সেরেনা বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে (অস্ট্রেলীয় ওপেন) হারের শোধ তোলেন। সেরেনা-স্লোয়ানের মধ্যে কোর্টের মতো কোর্টের বাইরেও লড়াই। যবে থেকে উঠতি মার্কিন প্রতিভা ফস করে নিজের দেশের টেনিস কিংবদন্তি প্রসঙ্গে বলে বসেন, “ও গ্রেট প্লেয়ার হতে পারে। কিন্তু সম্মাননীয় নয়। নইলে আমার ‘কাম অন’ বলে কোর্টে নিজেকে উদ্দীপ্ত করার অভ্যেসকে নকল করে ঠাট্টা করত না!” সেরেনা হয়তো সেটা মনে রেখেই স্লোয়ানেকে হারিয়ে উঠে বলেন, “বড় ম্যাচ জেতার মতোই অনুভূতি হচ্ছে আমার। কারণ ও গ্রেট প্লেয়ার। তাই সারাক্ষণ কোর্টে ঠান্ডা আর রিল্যাক্সড থাকার চেষ্টা করেছি।” ও দিকে, তৃতীয় বাছাই রাডওয়ানস্কা আর আট নম্বর কের্বার-কে হারিয়ে অঘটন ঘটান যথাক্রমে জেলেনা ইয়াঙ্কোভিচ ও নাভারো।
অন্য দিকে, বুড়ো থেকে রাতারাতি যুদ্ধের ঘোড়া হয়ে ওঠা লেটন হিউইটের দৌড় চলছেই। জীবনের ৩০তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রি-কোয়ার্টারে উঠলেন ৩২ বছরের বর্ষীয়ান অস্ট্রেলীয়। ডনস্কয়-কে ৬-৩, ৭-৬ (৭-৫), ৬-১ হারিয়ে। আর গতবারের চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারে শেষ ষোলোয় উঠেও যেন বিরক্ত। মেয়ারকে ৪২টা উইনার মেরে ৭-৬ (৭-২), ৬-২, ৬-২ হারিয়েও বলেছেন, “মনে হচ্ছে আমার শুরুটা আরও অনেক ভাল করতে হবে। কারণ আমি খুব ভাল স্টার্টার নই।” |