নির্বাচকদের নিয়ে প্রবল অস্থিরতা। বৃষ্টিতে বেহাল বাংলা ক্রিকেটারদের প্র্যাক্টিস। রঞ্জি মরসুমের আগে এখনও পর্যন্ত খেলা গিয়েছে মাত্র দু’টো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। বুচিবাবু টুর্নামেন্টে এবং সেখানেও বিশ্রী হার। বাকি ছিল শুধু ইন্ডোর। সোমবার সেখানেও অদ্ভুত বিভ্রাটে ভুগতে হল বাংলা ক্রিকেটারদের।
এ দিন বাংলা সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-২৫ টিমের প্র্যাক্টিস ইন্ডোরে ফেলা হয় মাত্র এক ঘণ্টা তফাতে। দু’টো টিমেরই প্রাথমিক দলে ছিলেন তিরিশ জন করে ক্রিকেটার। সকাল ন’টা নাগাদ আচমকাই দেখা যায়, ষাট জন ক্রিকেটারের ভিড়ে গিজগিজ করছে ইন্ডোর! পা ফেলার জায়গা নেই। একেই ইন্ডোর সংস্কারের কথা এক বছর আগে ঘোষণা করে এখনও পর্যন্ত কিছু করে উঠতে পারেনি সিএবি। প্র্যাক্টিসের ঠিকঠাক জায়গা কম। তার উপর ষাট জন ক্রিকেটার একসঙ্গে! প্রবল বৃষ্টিতে ইডেনের প্র্যাক্টিসে বারোটা বাজায় সিনিয়র টিমের কেউ কেউ ভেবেছিলেন, ইন্ডোরেই নেট সেরে নেবেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। কোনও কোনও ক্রিকেটারকে দৌড়নোর জন্য বেরিয়ে পড়তে হয় রেড রোডে! যা নিয়ে পরে বাংলা ক্রিকেটারদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষও তৈরি হল। |
ভোগান্তি-বিভ্রাটের এখানেই শেষ নয়। শহরে লাগাতার বৃষ্টির চোটে পিছিয়ে দিতে হচ্ছে স্থানীয় চ্যালেঞ্জার ট্রফি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের বদলে তা হবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। সিএবি চেষ্টা করছে, মুম্বই বা তামিলনাড়ুর মতো কোনও হেভিওয়েট টিম এনে টুর্নামেন্টের জাঁকজমক বাড়াতে। এ ছাড়াও উদ্বোধনের দিন ভাবা হচ্ছে সুনীল গাওস্করের মতো কাউকে প্রধান অতিথি হিসেবে আনতে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বৃষ্টি যদি এ ভাবে চলতে থাকে তা হলে টুর্নামেন্ট আদৌ হবে তো?
নির্বাচকরা আবার ভিতরে ভিতরে ফুঁসছেন। অভিযোগ, চ্যালেঞ্জারের নির্বাচিত টিম তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই করা হয়েছে। তাঁরা অপেক্ষা করছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার সঙ্গে বৈঠকের। যা হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু বাংলা কোচ অশোক মলহোত্র এখনও আসতে পারেননি বলে সেটা এখন হচ্ছে না। |