লোকসভা নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুল গাঁধীই হবেন সেরা পছন্দ, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে পারলে তিনি খুশি হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেন্ট পিটার্সবার্গে জি২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠক থেকে দেশে ফিরছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানে সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে আজ দ্ব্যর্থহীন ভাবেই এ কথাগুলি জানান তিনি। তার পরেই শুরু হয়েছে তাঁর মন্তব্য নিয়ে কাটাছেঁড়া। একটি শিবিরের মতে, কংগ্রেসের সহ- সভাপতি পদ থেকে রাহুল গাঁধীর উত্থানের বার্তা দিয়েছেন মনমোহন। সেই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন নিজের অবসরের। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলকে চান। সেই স্রোতে গা ভাসালেন মনমোহনও।
এর আগে দু’বার দেখা গিয়েছে, তৃতীয় ইউপিএ সরকারের নেতা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না মনমোহন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়। জুন মাসে মন্ত্রিসভার সর্বশেষ রদবদলের দিন সেই বিতর্ক মেটাতে সচেষ্ট হন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন সে দিন বলেছিলেন, “রাহুল গাঁধী কংগ্রেসের সহজাত নেতা। আশা করি এ বার তিনি ইউপিএ-কে নেতৃত্ব দেবেন। এ-ও বিশ্বাস করি, আমার পর প্রধানমন্ত্রী পদে তিনিই যোগ্য নেতা।” মনমোহনের এ-হেন মন্তব্যের পর মোদীর কটাক্ষ, “প্রধানমন্ত্রী কী এত দিন রাহুল গাঁধীর অধীনে ছিলেন না?”
প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কংগ্রেসের মধ্যে অধিকাংশই রাহুল গাঁধীকে চাইছেন। এ অবস্থায় আপনি কি মনে করেন, তৃতীয় দফায় আপনার প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভাবনা আছে? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বরাবরই বলেছি ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের পর রাহুল গাঁধী হবেন আদর্শ বাছাই। তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস দলের হয়ে কাজ করতে পারলে খুশিই হব।” প্রত্যাশিত ভাবেই মনমোহনের এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কথায় কী যায়-আসে! রাহুলকে মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে চায় কি না সেটা আগে দেখা যাক।” কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, দলের বড় অংশ রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে চায় ঠিকই, কিন্তু, ভোটের পরে কংগ্রেসের আসনসংখ্যার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। দল যদি কম আসন পেয়েও জোট সরকার গঠন করে তবে রাহুল প্রধানমন্ত্রী না-ও হতে চাইতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ফের দায়িত্ব পেতে পারেন মনমোহনই।
|