টুকরো খবর |
ফেলানি-কাণ্ডে শুনানি শেষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানি খাতুনের মৃত্যুর ঘটনায় শুনানী পর্ব শেষ হল। বিএসএফের কোচবিহার সেক্টরের সোনারি ক্যাম্প এলাকায় জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ১৩ অগস্ট মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পাঁচ সদস্যের বিচারক বেঞ্চের ওই কোর্টে শুনানি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। বিএসএফ সূত্রের খবর, সেখানে অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মিললেই তা চূড়ান্ত হবে। বিএসএফ কোচবিহার সেক্টর ডিআইজি দলজি সিংহ সাঁধু বলেন, “মামলা সংক্রান্ত নথি গুয়াহাটিতে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।” বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের ফেলানি খাতুন (১৫) ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি দিনহাটার খিতাবেরকুঠি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পর দিন সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়ার গায়ে বাঁধা মইয়ের ওপরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। এক জওয়ান গুলি চালানোয় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। আড়াই বছরের মাথায় শুরু হওয়া বিচার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কোচবিহারে এসে মৃতার আত্মীয়েরা সাক্ষ্য দেন। |
পুরনো খবর: ফেলানি হত্যার বিচার শুরু বিএসএফ ক্যাম্পে |
আয়বৃদ্ধিতে গুচ্ছ প্রকল্প কোচবিহারে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
সংস্থার আয় বাড়ানো ও বেহাল দশা ঘোচাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। শুক্রবার সন্ধ্যায় কোচবিহার পরিবহণ ভবনে পরিকল্পনার খতিয়ান তুলে ধরেন নিগমের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জয়দেব ঠাকুর। এমডি জানিয়েছেন, পুজোর সময় বাড়তি বাস নামাতে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে ৩৫টি বাস মেরামত হচ্ছে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ডিপো তৈরির জন্য জিটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে জমি চাওয়া হয়েছে। পাহাড়ে বাড়তি বাস চালাতে সরকারের কাছে নতুন ১৫টি বাস চাওয়া হয়েছে। পর্যটন প্যাকেজ চালুর তোড়জোড় শুরু করেছে নিগম কর্তৃপক্ষ। সংস্থার অফিসারদের দাবি, পর্যটন দফতরের বিজ্ঞাপন বাসে প্রচার করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছে। ২৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। এমডি বলেন, “পতিত জমি কাজে লাগিয়ে আয় বাড়াতে প্রকল্প হচ্ছে। বাসের টিকিট বিক্রির আয় বাড়িয়ে নভেম্বর থেকে ৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। সম্প্রতি এক কর্মী আত্মহত্যা করতে চেয়ে চিঠি দেন। আধিকারিক পাঠিয়ে তাঁকে বোঝানো হয়। এমনটা যাতে না ঘটে, দেখতে বলা হয়েছে।” |
মারধরে কর্মবিরতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
বকেয়া বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়া নিয়ে বচসায় বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দফতরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে একদল গ্রাহকের বিরুদ্ধে। মালদহের সামসি বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি দফতরে শুক্রবার দুপুরে ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। ক্যাশিয়ারকে ধাক্কাধাক্কি-সহ দরজা-জানালা ভাঙচুরের সময় কাচে ক্যাশিয়ার আহত হন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেশ কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে দফতরে বিল জমা দিতে আসেন কুশরাখ্যা এলাকার এক গ্রাহক। তাঁর এক বছরের বিল বকেয়া। সেই বিল জমা না দিয়েই তিনি চলতি মাসের বিল জমা নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন। ক্যাশিয়ার নির্মল সিংহ তা করা যাবে না জানালে ভাঙচুর শুরু করা হয়। |
টালবাহানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
সিভিক পুলিশ নিয়োগ করা নিয়ে টালবাহানায় থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আবেদনকারীরা। ঘন্টা খানেক পরে আইসি-র সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নিয়োগের এক্তিয়ার আমাদের নেই।” আবেদনকারীদের অভিযোগ, সিভিক পুলিশে নিয়োগে ৫ মাস আগেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। চাঁচলে হাজার পদের জন্য পরীক্ষা ৬ হাজার যুবক। তালিকা তৈরি হলেও নিয়োগ হচ্ছে না। |
সরল পতাকা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
ভোটের মাচাগুলি থেকে দলীয় পতাকা খুলে নিয়েছে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। কিন্তু মাচা খোলা হয়নি বলে অভিযোগ। ৩ সেপ্টেম্বর হলদিবাড়িতে সর্বদল বৈঠকে সমস্ত দলের পক্ষ থেকে বসার মাচাগুলি সরিয়ে ফেলার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরে তা সরানো হয়নি বলে অভিযোগ। শুধুমাত্র সরানো হয় পতাকাগুলি। মহকুমা নির্বাচন আধিকারিক রঞ্জন ঝা বলেছেন, “মাচাগুলি ভেঙে দেওয়া হবে।” |
বাজারে আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
বড় আগুন থেকে রক্ষা পেল রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজার। শুক্রবার ব্যবসায়ী শিবু সোমের মুদিখানার স্টোর রুম থেকে ধোঁয়া দেখে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে দমকলের অনুমান। বাজার কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত সোম বলেন, “ব্যবসায়ীরা যাতে অগ্নি নির্বাপণ বিধি মেনে লাইসেন্স সংগ্রহ করেন, সে বিষয়ে সচেতনতার কাজ শুরু হচ্ছে।” |
এনবিএসটিসি, অপচয়ের নালিশ |
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (এনবিএসটিসি) কর্মীদের বকেয়া থাকা বেতনের অঙ্ক ১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ওই সংস্থার বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ, এই অবস্থা সত্ত্বেও ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রচুর অপব্যয় করছেন। সংস্থার চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আমি বিশদে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করব।” যদিও ওই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এমডি বলেন, “সংস্থার স্বার্থে বেশ কিছু ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করেছি। যাঁদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, তাঁদের কেউ কেউ ও সব অপপ্রচার করছেন।” |
|