স্কুলের এক গণ্ডগোলের ঘটনায় ধৃতেরা জামিন পাওয়ার প্রতিবাদে পথ অবরোধে নেমেছিল ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, লাঠি চালিয়ে তাদের সরাল পুলিশ। শুক্রবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ফুলবেড়িয়ার ঘটনা। তবে কেউ আহত হয়েছে বলে খবর নেই।
জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, “পুলিশ লাঠি চালায়নি। অনেক বুঝিয়েও ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা থেকে সরানো যায়নি। কিছু অভিভাবক পুলিশকর্মীদের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়েন। তখন পুলিশ লাঠি নিয়ে তাদের দিকে তেড়ে যায়।’’
মঙ্গলবার ফুলবেড়িয়া হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রের সঙ্গে স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের গোলমাল হয়। পরে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র তার বাবা ও কাকাকে স্কুলে নিয়ে এসে ওই দুই ছাত্রকে মারধর করে বলে অভিযোগ। জখম দুই ছাত্রকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে। |
অবরোধকারী পড়ুয়াদের উপর পুলিশের লাঠি চার্জ। বড়জোড়ার ফুলবেড়িয়ায়।—নিজস্ব চিত্র |
পরে তারা জামিন পান। এর প্রতিবাদেই এ দিন বেলা ১১টা থেকে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী ফুলবেড়িয়ায় বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কে অবরোধ শুরু করে। অবরোধে সামিল হন বহু অভিভাবকও। আটকে পড়ে বহু গাড়ি।
বেলা ২টো নাগাদ অবরোধকারীদের একাংশ হঠাৎ তাদের দিকে ইট ছোড়ে বলে পুলিশের অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময় পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের উপরে এলোপাথাড়ি লাঠি চালায়। তারা ছত্রভঙ্গ হতেই শুরু হয় যান চলাচল।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক কাজল পরামাণিকের বক্তব্য, “পথ অবরোধের মতো আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি না। কিছু লোকের উস্কানিতেই ছাত্রছাত্রীরা এই কাজ করে ফেলেছে।” তিনি জানান, অবরোধে যোগ দেওয়া পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত বৈঠকে বসবেন। পাশাপাশি, স্কুলে ঢুকে হামলায় অভিযুক্তেরা যাতে কড়া শাস্তি পায়, সে জন্য তাঁরা জেলা প্রশাসন ও স্কুল শিক্ষা দফতরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।
|