|
|
|
|
সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ ঝাড়গ্রাম পুরসভার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সংরক্ষণের গেরো। তাই এ বার আর নিজেদের ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না ঝাড়গ্রাম পুরসভার উপপুরপ্রধান এবং বিরোধী দলনেতা। পুরপ্রধানের ওয়ার্ডটি অবশ্য সংরক্ষণের আওতায় আসেনি। ফলে, নিজের ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়াতে তাঁর কোনও অসুবিধে নেই।
শুক্রবারই ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে ঝাড়গ্রাম পুরসভায়। আর তাতেই উঠে এসেছে এই ছবি। পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে সব মলিয়ে ৮টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৬টি ওয়ার্ড। আগামী ২২ নভেম্বর পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই ইতিমধ্যেই শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৎপরতা আরও বাড়ছে। প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে।
আগে ঝাড়গ্রাম পুরসভায় ১৭টি ওয়ার্ড ছিল। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে একটি ওয়ার্ড বাড়ায় এখন ওয়ার্ড সংখ্যা হয়েছে ১৮। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগের ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুন ওয়ার্ডের নম্বরের মিল নেই। যেমন, আগে যে ওয়ার্ডটির নম্বর ৭ ছিল। এখন সেই ওয়ার্ডটির নম্বর ১ হয়েছে। পাঁচ বছর আগে, ২০০৮ সালে ঝাড়গ্রাম পুরসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা দখল করেছিল বামফ্রন্ট। পুরপ্রধান হন সিপিএমের প্রদীপ সরকার। প্রদীপবাবু তার আগেও পুরপ্রধান ছিলেন। উপ-পুরপ্রধান হন সিপিআইয়ের প্রদীপ মৈত্র।
অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা হন তৃণমূলের আনন্দমোহন পাণ্ডা। পাঁচ বছর আগে শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন প্রদীপ সরকার। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে এটি এখন ১০ নম্বর ওয়ার্ড হয়েছে। ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি সংরক্ষণের আওতায় আসেনি। ফলে, নিজের ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই প্রদীপবাবুর। কিন্তু, উপপুরপ্রধান এবং বিরোধী দলনেতা আর নিজেদের ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। গতবার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন উপপুরপ্রধান প্রদীপ মৈত্র। এ বার এটি ১ নম্বর ওয়ার্ড হয়েছে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ১ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত। অন্য দিকে, গতবার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন বিরোধী দলনেতা আনন্দমোহন পান্ডা। এ বার এটি ৯ নম্বর ওয়ার্ড হয়েছে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ৯ নম্বর ওয়ার্ডটিও মহিলা সংরক্ষিত। এছাড়াও অন্যান্য মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলি হল ৪, ৫, ১২ এবং ১৮। এর মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি উপজাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়াও ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি উপজাতি এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। |
|
|
|
|
|