বিতর্কে দিশাহারা ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন হঠাৎ পাশে পেয়ে গেলেন রবি শাস্ত্রীকে। শুক্রবার দিলীপ সরদেশাই স্মৃতি বক্তৃতায় শাস্ত্রী বলেন, “অনেকেই আমায় প্রশ্ন করেন শ্রীনিবাসনের জায়গায় থাকলে আমি কী করতাম? আমি থাকলেও ইস্তফা দিতাম না।” সঙ্গে আরও যোগ করেন, “শ্রীনিবাসন যা করেছেন, সেটা (পদ থেকে সরে দাঁড়ানো) বোর্ডে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্যই। শ্রীনিবাসন এক জন সত্যিকারের ক্রিকেট ও ক্রীড়াপ্রেমী।” শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে ওঠা ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’ অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন শাস্ত্রী। বরং বলেছেন, “জীবনের প্রতি পদেই বিতর্ক রয়েছে। আর কোনও প্লেয়ারের কিন্তু বোর্ডের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।” |
দু’দিকে দুই কিংবদন্তি। মাঝে অভিনেতা সচিন পিলগাঁওকর। শুক্রবার মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে। ছবি: পিটিআই |
শশাঙ্ক মনোহর, শরদ পাওয়ারের মতো প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদেরও ‘দুর্ধর্ষ প্রশাসক’ মনে করেন শাস্ত্রী। “ভারত গত তিন দশক ধরে ক্রিকেটের তিন ধরনের ফর্ম্যাটে প্রথম তিনে রয়েছে। দেশের অন্য খেলাধুলোর প্রশাসকদের দিকে তাকান, তা হলেই বুঝবেন,” মন্তব্য তাঁর। শুধু বিতর্ক নয়, সচিন তেন্ডুলকরের ২০০তম টেস্টে অবসর নেওয়ার জল্পনা নিয়েও শাস্ত্রী মুখ খোলেন। শাস্ত্রী বলে দেন, “মনে হয় সচিন এখন অবসর নেবে না। আমার মনে হয় আগামী বছর লর্ডসেও সচিনকে খেলতে দেখবেন।”
ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজে সচিনের খেলা নিয়ে যতটা আত্মবিশ্বাসী শাস্ত্রী, ঠিক ততটাই ঝাঁঝ ছিল আবার ডিআরএস নিয়ে তাঁর বিরোধিতায়। ইংল্যান্ডে সদ্য শেষ হওয়া অ্যাসেজ সিরিজে ডিআরএস বিতর্কের ফলে ভারতের হাতই আরও মজবুত হল বলে মনে করেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, “তিন বছর আগে যখন ডিআরএস নিয়ে বিরোধিতা করেছিলাম, তখন বলা হয়েছিল বোর্ডের সঙ্গে আমি চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু সে দিন যা বলেছিলাম সেই বক্তব্যে আজও অনড়।”
|
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর হচ্ছে, বললেন ডালমিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সব কিছু ঠিকঠাক চললে, দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলা মিটতে চলেছে ভারতীয় বোর্ডের। আগামী ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে বিভিন্ন বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভদের নিয়ে যে বৈঠক হবে, সেখানে থাকছেন লর্গ্যাট এবং ভারতীয় বোর্ডের সচিব সঞ্জয় পটেল। লর্গ্যাটের মনে হচ্ছে, সিরিজ নিয়ে জট ওই বৈঠকেই কেটে যাবে।
শুক্রবার সিএসএ-র পক্ষে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই বৈঠকের কথা ঘোষণা করেন লর্গ্যাট। তাঁর এই ঘোষণার পর শুক্রবার সন্ধেয় ভারতীয় বোর্ডের অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়াও আবার বলে দিলেন, “সমস্যার সমাধান হবে। সিরিজটাও হবে। কিন্তু সিরিজ সংক্রান্ত বিষয়গুলো তো বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। আমরা বোর্ডের বার্ষিক সভা নিয়ে এখন খুবই ব্যস্ত। এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সফরের সূচি হয়তো ওই সভার পরই চূড়ান্ত হবে।” বোর্ড সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকায় দু’টি টেস্ট ও তিনটি ওয়ান ডে খেলতে চাইছিল ভারত। লর্গ্যাটরা এই সূচিই মেনে নিতে চলেছেন। বোর্ডের শেষ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর সিএসএ ও ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের মধ্যে যে কথাবার্তা হয়েছে, সেটা বিবৃতিতে পরিষ্কার করে দিয়েছেন লর্গ্যাট। বলেছেন, “গত কয়েক দিন ধরে দুই বোর্ডের মধ্যে কথাবার্তার পরই এই বৈঠক ডাকার কথা হয়েছে। আমরা আমাদের দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশ করতে চাই না। তাই বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ীই সূচি চূড়ান্ত হবে।” মনে করা হচ্ছে, স্পনসরদের চাপেই এ ভাবে ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে আপসে যেতে হচ্ছে লর্গ্যাটকে। কারণ সিরিজ না হলে স্পনসরদের বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হত। |