এখনও দীপশিখা: লিয়েন্ডার ৪০ বছর ৮২ দিন
‘আমার টেনিস দর্শনে অসম্ভব বলে কিছু নেই’
তিন জন আলাদা পার্টনার নিয়ে শেষ আট বছরে তিন বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চূড়ান্ত যুদ্ধে লিয়েন্ডার পেজের সামনে রবিবার আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে বিশ্বের দু’নম্বর ডাবলস টিম আলেকজান্ডার পিয়া-ব্রুনো সুয়ারেজ। তার আগে লিয়েন্ডার পেজ ইউএস ওপেন ওয়েবসাইটে যা বললেন...

প্রশ্ন: ব্রায়ানদের ঘরের মাঠে গ্র্যান্ড স্ল্যামে হারানোর অনুভূতিটা কেমন? বিশেষ করে যখন ওরা ক্যালেন্ডার ইয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার ইতিহাস গড়া থেকে মাত্র দু’ম্যাচ দূরে ছিল!
লিয়েন্ডার: থ্যাঙ্ক গড। ভাগ্যিস এত কিছু ভেবে খেলতে নামিনি। আমাদের কাছে ম্যাচটা ছিল সার্ভিসটা ভাল করতে হবে। ঠিকঠাক রিটার্ন মারতে হবে। কোর্টে একে অন্যকে খুশি রাখতে হবে। তার পর যা হবে হোক। রাদেক পিঠের কঠিন অস্ত্রোপচার করিয়েও ফিরতে পেরেছে। আমি ব্রেন টিউমারের সঙ্গে লড়াই জিতে একাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাই রাদেক আর আমার টেনিস দর্শন হল, কিছুই অসম্ভব নয়! এই প্রজন্ম অপোনেন্ট নিয়ে অনেক ভেবেটেবে খেলতে নামে। যত না নিজেদের খেলাটা নিয়ে ভাবে! তার পর আর বলটা কী ভাবে মারবে তার হদিশ পায় না। আমাদের কাছে সেখানে ব্যাপারটা ‘মাসল মেমরি’। আলাদা করে মনে রাখতে হয় না। শরীরটাই সব মনে রাখে।

ফ্লাশিং মেডো ২০১৩
প্র: কী রকম?
লিয়েন্ডার: এটা রোজকার কাজ। অনেক প্লেয়ার একটা করে ম্যাচ ভেবে এগোয়। অনেকে একটা সপ্তাহ ভেবে। আমি একটা অলিম্পিক থেকে পরের অলিম্পিক পর্যন্ত ভেবে এগোই। রাদেককে গত ছ’মাস ধরে বলে চলেছি, রিও অলিম্পিকের জন্য আমি কী ভাবে তৈরি হচ্ছি। এটা রোজ ন’টা-পাঁচটা অফিস করার মতোই।

প্র: ব্রায়ানদের কাছে প্রথম সেটে প্রায় উড়ে যাওয়ার পর ওদের পাল্টা মারার পথ বার করলেন কী ভাবে?
লিয়েন্ডার: আমি জানতাম যদি ভাল রিটার্ন মারতে পারি। প্রথম সার্ভ যদি ঠিকঠাক করি, তা হলে ব্রায়ানদের সমস্যা হবে। শেষ দুটো সেটে সেটাই হল। রাদেক কোর্টে সেই শক্তিটা জোগায়, যেটা জুটি হিসেবে আমাদের নিখুঁত করে। সেটার জোরে ফাইনালে ওঠারও রাস্তা বার করে ফেলেছিলাম। একবার যদি বিপক্ষের ফাঁক খুঁজে পাই, সেখান দিয়ে প্রথমে নিজের পা’টা গলানোর চেষ্টা করি। তার পর পুরো শরীরটা। সেটা পারলে তার পর পার্টনারকে একই ভাবে চেষ্টা করি সেই জায়গায় তুলে আনতে। ওটাই ম্যাজিক।

প্র: ডাবলসে অন্যতম গ্রেট আপনি, ম্যাচের সকালে পার্টনারকে কী বলেন?
লিয়েন্ডার: আমি এখনও খেলাটার ছাত্র। যত শিখব তত উন্নতি করব। যত উন্নতি করব তত জিতবএটাই আমার দর্শন। ক’টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলাম, ক’টা অলিম্পিক খেললাম এ সবের চেয়েও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদিন নিজেকে কতটা উন্নত করতে পারলাম।

প্র: এটা আপনার কুড়িতম যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। লম্বা সফরে কোনও বিশেষ মুহূর্ত?
লিয়েন্ডার: কুড়ি বছর নিউইয়র্কে খেলতে আসতে পারার পিছনে যেটা, সেটাই মনে পড়ছে। নব্বইয়ে জুনিয়র ইউএস ওপেন সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। ফাইনাল দেখতে আসেন উইল্ট চেম্বারলেন। সফল হওয়ার সেই খিদে এখনও আমার একই রকম।

প্র: সেটার প্রকাশই কি কোর্টে চেস্ট বাম্প? বা ক্র্যাব ডান্স?
লিয়েন্ডার: আমি জিম করা ছাড়াও ফিট থাকার জন্য সিনক্রোনাইজড্ ডান্স শিখেছি। হয়তো তাই আমাদের নাচ এত ছন্দবদ্ধ দেখায়। কিন্তু ওটাকে ক্র্যাব ডান্স বলে, বিশ্বাস করুন জানতাম না!

কাল ফাইনালের চার চরিত্র

লিয়েন্ডার পেজ-রাদেক স্টেপানেক
বয়স: ৪০ এবং ৩৫
ডাবলস টিম র‌্যাঙ্কিং: ২২
এ বছর খেতাব:
বনাম
মুখোমুখি: ১ (লি-রা পরাজিত)

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.