|
|
|
|
খড়্গপুরে বৈঠক প্রশাসনের |
শহরের ১৯টি স্কুলে চালু হয়নি মিড-ডে মিল প্রকল্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কোথাও তৈরি হয়নি ভবন, তো কোথাও নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা এমনই নানা সমস্যায় খোদ খড়্গপুর শহরের প্রায় ১৯টি স্কুলে চালু হয়নি মিড-ডে মিল প্রকল্প। শুক্রবার খড়্গপুর মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে মিড-ডে মিল নিয়ে প্রশাসন-স্কুল কর্তৃপক্ষের এক বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানেই উঠে আসে এমনই নানা সমস্যার কথা। তা শোনেন বিধায়ক জ্ঞান সিংহ সোহন পাল, মহকুমাশাসক আর বিমলা, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিরঞ্জন ভট্টাচার্য।
খড়্গপুর শহরের অধিকাংশ এলাকা রেলের এলাকা হওয়ায় বেশ কিছু বিদ্যালয় রেলের জমিতে লিজ নিয়ে চলছে। নতুন করে মিড-ডে মিল চালু করতে গেলে যে পরিমাণ পরিসর প্রয়োজন স্কুলগুলির তা নেই। আবার কোথাও ভবন তৈরির জন্য পরিকল্পনা করেও অনুমোদন না মেলায় এখনও চালু করা যায়নি ওই প্রকল্প। ধরা যাক সিলভার জুবিলি হাইস্কুলের কথা। এখানকার প্রধান শিক্ষক সিথিকণ্ঠ দে-এর কথায়, “মিড-ডে মিল প্রকল্প চালু করতে গেলে যে পৃথক ভবন প্রয়োজন তার জন্য বহু দিন আগে থেকেই ডিরেক্টর অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনে ৬ লক্ষ টাকার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। কিন্তু মেলেনি। তাই এখন চাপের মুখে মূল ভবন থেকে কিছু দূরে নব নির্মিত একটি ক্লাসঘরের ছাউনির নীচে মিড-ডে মিল চালু করার কথা ভাবছি। |
|
মহকুমাশাসকের দফতরে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
শহরের সাউথ সাইড স্কুলটি রেলের জমিতে হওয়ায় নতুন ভবন তৈরির জন্য নেই উপযুক্ত পরিসর নেই বলে জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, রেলকে জমির জন্য বললেও তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রধান শিক্ষক শুধাপদ বসু বলেন, “বৈঠকে এসডিও ফের রেলের কাছে জমি চেয়ে আবেদন করতে বলেছেন। দেখা যাক কী হয়।”
সমস্যা রয়েছে পরিচালন সমিতি নিয়েও। ইন্দার কৃষ্ণলাল শিক্ষা নিকেতন বালক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বহু দিন ধরেই পরিচালন সমিতি না থাকায় বরাদ্দ হওয়া টাকা কী ভাবে তোলা হবে তা নিয়ে সমস্যা চলছে। এ দিন তাই বৈঠকে না গিয়ে প্রধান শিক্ষক ছুটে গিয়েছিলেন বিকাশ ভবনে। প্রধান শিক্ষক পার্থ ঘোষ বলেন, “এত দিনে শিক্ষামন্ত্রী প্রশাসক নিয়োগের অনুমতি দিয়েছেন। এ বার যত দ্রুত সম্ভব মিড-ডে মিল চালু করব।”
এ দিকে রেলের স্কুলগুলি কোনও মতেই চায় না রাজ্যের সঙ্গে টাকা লেনদেন করতে। রেলের বালক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রীতিময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “আমরা চাইছি না রাজ্যের সঙ্গে অর্থ লেনদেন করতে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে রান্নায় নানা সমস্যাও রয়েছে। শুকনো খাবার হলে ভাবা যেতে পারে।” মহকুমাশাসক আর বিমলা জানান, “বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। ১০টি স্কুলের সমস্যার হয়েছে। রেলের স্কুলগুলিকে মিড-ডে মিল চালু করতেই হবে বলে জানিয়েছি। রেলের জমি বা অন্য সমস্যা নিয়ে ডিআরএম এর সঙ্গে কথা বলব।” |
|
|
|
|
|