গোঘাটে সালিশি করে ধর্ষণের চেষ্টার সাজা
|
দিন পনেরো আগে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে। শিশুর পরিবারকে পুলিশের কাছে না পাঠিয়ে, শুক্রবার ওই যুবককে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে, সালিশি করে তাঁর চুল কেটে, জুতোর মালা পরিয়ে, গ্রামে ঘুরিয়ে ‘সাজা’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ওই যুবক এ নিয়ে কথা বলতে চাননি। ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি তাঁর বাবা। কিন্তু যে ভাবে বেঙ্গাই গ্রামের দুই তৃণমূল নেতা পরেশ চট্টরাজ ও সুকুমার রায় আইন নিজেদের ‘হাতে তুলে নেন’, তাতে গ্রামবাসী একটা বড় অংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সুকুমারবাবু ঘটনা অস্বীকার করলেও পরেশবাবু বলেন, “ওই যুবকের উপরে অনেকের সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল। এ দিকে গ্রাম ক্রমশ তেতে উঠছিল। তাই থানা-পুলিশ এড়িয়ে গ্রামবাসী এবং শিশুটির পরিবারের দাবি মতোই বিচার করা হয়েছে।” তবে, দলের গোঘাট-২ ব্লক সভাপতি তপন মণ্ডল বলেন, “অত্যন্ত খারাপ কাজ হয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ঠিক করেননি ওই নেতারা। ঘটনাটি দলীয় ভাবে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দিন পনেরো আগে গ্রামের ক’জন দক্ষিণপাড়া-লক্ষ্মীতলার একটি পুকুর পাড়ে বছর তিনেকের একটি মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে থাকতে দেখেন বাচ্চাটির পড়শি বছর চব্বিশের ওই যুবককে। পরে শিশুটির পরিবার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তোলে যুবকের বিরুদ্ধে। শিশুটির বাবা বলেন, “মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে থানা-পুলিশ করতে চাইনি। তৃণমূল নেতাদের জানায়। তাঁদের উদ্যোগেই সালিশি বসিয়ে বিচার হল। আমরা খুশি।” যুবকটির বাবা বলেন, “ওই বাচ্চাটাকে ছেলে ভালবাসে। বাচ্চাটাকে ঘুরিয়ে আনতে কত সময় তার বাড়ির লোক তো ছেলেকে বলে। ওর বিরুদ্ধে কেন মিথ্যা অভিযোগ তোলা হল, বুঝলাম না।” |