কলেজে বই দান
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের গ্রন্থাগারটি সমৃদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পুস্তক প্রদান শিবির ও আলোচনা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের ১৯০টি পাঠ্য বই প্রদান করেন। কলেজের শিক্ষকেরা তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ১০০টি পাঠ্য বই দেন। কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান হরেন্দ্রনাথ কোলে বলেন, “বইগুলি ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য বিভাগীয় গ্রন্থাগারে রাখা হবে। গত ৭ বছর ধরে এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গ্রন্থাগারে মোট বইয়ের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।” অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর বক্তব্য, পাঠ্যবইবিমুখতা দূর করতে, বইয়ের প্রতি ভালবাসা বাড়াতে এবং পারস্পরিক দায়বদ্ধতা জাগ্রত করতেই এই প্রচেষ্টা। অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয় ছিল, ‘উনিশ শতকের সমাজ ও সাহিত্যে নারী।’
|
কলেজে চুরি, তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোঁদল থানায় |
বেলুড়ের লালবাবা কলেজে চুরির ঘটনার তদন্ত করছিল পুলিশ। তা-ই নিয়ে বালি থানার মধ্যেই কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী। হাতাহাতিও হল। একটি গোষ্ঠী মন্ত্রী অরূপ রায়ের অনুগামী এবং অন্যটি বিধায়ক সুলতান সিংহের। কয়েক মাস ধরে ওই কলেজ থেকে আলো, পাম্প, নগদ মিলিয়ে তিন লক্ষ টাকা চুরি গিয়েছে বলে অধ্যক্ষ থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ শুক্রবার তিন ছাত্র এবং কলেজের ছ’জন কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ছেড়েও দেয়। অরূপবাবুর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার সঙ্গীদের নিয়ে থানায় যান। পুলিশ কেন ওই ছ’জনকে ডেকেছিল, প্রাণকৃষ্ণবাবু তার কৈফিয়ত চান বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি সুলতানের ঘনিষ্ঠ রঞ্জন ভট্টাচার্য, দেবজ্যোতি চক্রবর্তীরা থানায় গিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তদন্তে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে কেন? মারপিট বেধে যায়। প্রাণকৃষ্ণবাবু ও তাঁর সঙ্গীদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে অরূপবাবু বলেন, “কলেজে চুরির তদন্তে কেউ হস্তক্ষেপ করলে পুলিশ দেখবে। অপরাধী শাস্তি পাবে।” |