হাওড়ার মেয়রের অনুরোধে সভাস্থল পাল্টালেন মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মমতার অনুরোধ রাখলেন মমতা।
হাওড়ার শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে জনসভা করে খেলার মাঠের সবুজ ধ্বংস না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন হাওড়ার মেয়র মমতা জায়সবাল। রাজনীতিতে সর্ম্পূণ বিপরীত মেরুতে অবস্থানকারী হাওড়ার মেয়রের সেই অনুরোধ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে জনসভা অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শহরে উপযুক্ত মাঠ না পাওয়ায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ওই সভা হবে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে, পাঁচলায় নেতাজি সঙ্ঘের মাঠে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ১২ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। আগে ঠিক ছিল, বৈঠকের পরে শরৎ সদনের পাশেই শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে জনসভা হবে। স্টেডিয়ামটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হাওড়া পুরসভার। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাশ মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের নির্দেশ মতো হাওড়ার মেয়রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য স্টেডিয়ামটি ব্যবহারের অনুরোধ জানান। মেয়র জেলাশাসককে বলেন, স্টেডিয়ামটি হাওড়ার একমাত্র উন্নত মানের খেলার মাঠ। সেখানে জনসভা করলে সবুজ ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অন্যত্র জনসভা করলে মাঠটির ক্ষতি হবে না। এ কথা জানতে পেরে মহাকরণ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানানো হয়।
জেলাশাসক বলেন, “মেয়রের অনুরোধ মহাকরণে জানানোর পরেই সিদ্ধান্ত হয়, জনসভার স্থান পরিবর্তন হবে।” কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রী জনসভা অন্যত্র করার জন্য জায়গা খুঁজতে বলেছিলেন। শহরে ভাল মাঠ না পাওয়ায় পাঁচলায় ওই সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ রাখায় সন্তুষ্ট বামফ্রন্ট শাসিত হাওড়া পুরবোর্ডের মেয়র মমতা। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত হলেও শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক স্টেডিয়ামে হাজির হন। নিরাপত্তা রক্ষীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে জোর করে স্টেডিয়ামে ঢোকেন তাঁরা। নিরাপত্তারক্ষীকে গালিগালাজও করা হয়। ওই আধিকারিকেরা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার জন্য স্টেডিয়ামটি এখন থেকে পুলিশের দখলেই থাকবে। মেয়র বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জনসভা সরিয়ে নেওয়ার পরেও পুলিশের এই ভূমিকায় আমরা বিস্মিত।”
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডের জবাব, শরৎ সদনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য চারিদিকে নজরদারি, তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেই সূত্রেই পুলিশ স্টেডিয়ামে গিয়েছিল। ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ মানতে চাননি তিনি। |