|
|
|
|
বেঙ্গালুরুতে পুলিশের জালে পলাতক ধর্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেঙ্গালুরু |
পুলিশের ফাঁদে পলাতক ‘সাইকো’ শঙ্কর!
গত রবিবার বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল জেল থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল কুড়িটিরও বেশি ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত মানসিক ভারসাম্যহীন এই অপরাধী। এর পরই রাজ্য জুড়ে জারি হয় সতর্ক বার্তা। জয়শঙ্কর ওরফে ‘সাইকো’ শঙ্করের মাথার দাম ধার্য করা হয় পাঁচ লক্ষ।
শুক্রবার কর্নাাটকের বোমানাহাল্লি এলাকা থেকে অবশেষে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধর্ষণ ছাড়াও অপহরণ, চুরি-জালিয়াতির একাধিক মামলা ঝুলছে তার নামে।
হিন্দি সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যগুলির অনুকরণে রবিবার রাতে পুলিশের পোশাক গায়ে, জেলের দেওয়াল টপকে পালিয়েছিল ‘সাইকো’ শঙ্কর। কুখ্যাত এই অপরাধী পালানোর পর কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় সেন্ট্রাল জেলের এগারো জন রক্ষীকে।
দেশ জুড়ে নারী নিগ্রহের ঘটনা যে ভাবে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ‘সাইকো’ শঙ্করের মতো অপরাধীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কপালে ভাঁজ পড়ে যায় স্থানীয় প্রশাসনের। মহিলাদের জন্য জারি হয় সতর্ক বার্তা। ‘সাইকো’ শঙ্কর ধরা না পড়া পর্যন্ত মহিলাদের একলা কোনও নির্জন জায়গায় না যাওয়ার অনুরোধও জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
হাতে মাঝারি মাপের কালো ব্যাগ ও ধারালো একটি ছুরি। ‘সাইকো’ শঙ্করকে চিনে নেওয়ার এটাই ছিল সহজ উপায়। দিনের পর দিন এরই সাহায্যে একাধিক মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করত ‘সাইকো’ শঙ্কর। অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের পর খুনও করত মহিলাদের। অপরাধের কেন্দ্রস্থল ছিল তামিলনাড়ু ও আশপাশের অঞ্চল। ২০০৯ সালে এক মহিলা পুলিশকর্মীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এ হেন ‘সাইকো’ শঙ্কর গ্রেফতার হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে প্রশাসন। |
|
|
|
|
|