|
|
|
|
মিজো সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বনধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পড়শি দেশের পাচারকারীদের সঙ্গে নিষিদ্ধ ওষুধ পাচারে হাত মেলানো ও নিজের নাবালক সন্তানের নামে ৪টি ‘ড্রাগ লাইসেন্স’ বের করার অভিযোগ উঠল মিজোরামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লালরিনলিয়ানা সাইলোর বিরুদ্ধে। আর মাত্র দু’মাস পরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রধান বিরোধী মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এমএনএফ) তোলা অভিযোগে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক কংগ্রেস দল। সাধারণ ভাবে মিজোরাম সরকারের নতুন ভূমি নীতির সাফল্যের জেরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তেমন জোরালো কোনও নির্বাচনী হাতিয়ার না থাকায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী লালরিনলিয়ানা সাইলোর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়েই কোমর বেঁধেছে এমএনএফ। সব বিরোধীদলের সঙ্গে জোট বেঁধে তারা ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্যে বনধের ডাক দিয়েছে।
এমএনএফ-এর দাবি, সাইলো মায়ানমারের কিছু ওষুধ সরবরাহকারীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতে নিষিদ্ধ ওষুধ আমদানি করছেন। পাশাপাশি, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, স্রেফ পদের জোরে সাইলো তাঁর নাবালক ছেলের নামে ড্রাগ লাইসেন্সও বের করে নিয়েছেন। তাও একটি নয়, চারটি। অবিলম্বে সাইলোর পদত্যগ দাবি করেছে এমএনএফ। কিন্তু কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রী লালথানহাওলা সাইলোর বিরুদ্ধে তোলা এমএনএফের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের জবাব, এমএনএফ ক্ষমতায় থাকার সময়, তদানীন্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী লাংমিংথাংঙ্গার ১০ কোটি টাকা তছরূপ-সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ফাঁস করে দিয়েছিলেন এই সাইলো। এখন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ও সাইলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এমএনএফ কোনও প্রমাণ ছাড়াই ব্যক্তিগত আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে।
এমএনএফ-এর দাবি, ভিনরাজ্য ও ভিনদেশের ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে মিজোরামের সম্পদ ও অর্থ সব বাইরে চলে যাচ্ছে। কংগ্রেসের মন্ত্রী ও নেতারা তাতে মদত দিচ্ছেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, তাদের হাত ধরেই মিজোরাম সর্বাঙ্গীন উন্নতির পথে হেঁটেছে।
গত নির্বাচনে ধর্ম বনাম রাজ্যের লড়াই মিজোরামে নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছিল। গির্জার নির্দেশে, ভোট প্রচার, ভোটারদের ভেট দেওয়া, রাজনৈতিক দলের টাকায় বনভোজনের মতো প্রচার কাজ পুরো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ বার, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন অভিযোগে ফেঁসে যাওয়ার পাশাপাশি সাইলো খ্রিস্টান যাযকদেরও খেপিয়ে দিয়েছেন। নিজে মূর্তি পুজারি হয়েও তিনি মধ্য ভারত সফরে যাওয়া প্যাস্টরদের নিয়ে ব্যাঙ্গ করে বলেছেন, “অবিশ্বাসীদের হাতে কপাল লাল করে ফিরেছেন যাযকরা।” সব মিলিয়ে সাইলোকে নিয়ে খানিকটা জেরবার প্রদেশ কংগ্রেস। তবে এমএনএফ-এর বন্ধকে পাল্টা আক্রমণ হেনে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি আর লালজিরলিয়ানা বলেন, “বনধ করার মানেই গরিবদের পেটে আঘাত হানা। কর্ম দিবস নষ্ট করা। এমএনএফ রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশেই গরিবদের কথা না ভেবে বনধ ডেকেছে।” |
|
|
|
|
|