জানা গিয়েছিল আগেই। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, আলিপুর সংশোধনাগারের কাছে সায়েন্স সিটির ধাঁচে একটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও একটি ওপেন থিয়েটার তৈরি করবে রাজ্য সরকার। স্টেডিয়ামের নাম হবে ‘ধনধান্য’। এ ছাড়া সেখানে হবে ভূগর্ভস্থ পার্কিং, যার উপরে থাকবে বাণিজ্যিক এলাকা— ক্যাফেটেরিয়া, রেস্তোরাঁ, শো-রুম প্রভৃতি। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সার্ধশত জন্মবাষির্কী উপলক্ষে এ দিন ওই অনুষ্ঠান হয় আলিপুর সংশোধনাগারের পাশে একটি মাঠে। আয়োজক ছিল তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র জগতের অনেকে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেলভেডিয়ার রোড দিয়ে পার হওয়ার সময় এই মাঠটি আমার নজরে আসে। তখনই মনে মনে ঠিক করি এখানে একটা স্টেডিয়াম করা যাবে। যাতায়াতের পথে রাজারহাটে এ ভাবেই ইকো ট্যুরিজম পার্ক করেছিলাম। এখানেও তিন হাজার আসনবিশিষ্ট একটা স্টেডিয়াম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতর নকশা তৈরি করেছে। স্টেডিয়ামের পাশেই হবে ১৮০০ আসনবিশিষ্ট মুক্তমঞ্চ। তার পাশে থাকবে আধুনিক পার্কিংয়ের জায়গা। মমতা বলেন, “ওই তিনটি কাঠামো বানানোর কাজ চটপট শেষ করতে হবে।” এ বিষয়ে পূর্ত দফতরের পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনার দফতরের পাশে এই কাজ হবে। যাতে দ্রুত হয় তা দেখবেন।”
|
অনুষ্ঠানে শিল্পী-কলাকুশলীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: দেবাশিস রায়। |
শহরকে সুন্দর করে সাজাতে রাজ্য সরকার আরও পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মিলন মেলায় প্রগতি বিহার করার পরিকল্পনা নিচ্ছি। দিল্লির প্রগতি ময়দানের আদলে সেখানে তা গড়া হবে।” তিনি জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, “বাংলা সংস্কৃতির পীঠস্থান। সংস্কৃতির ধারক ও বাহকদের চোখের মণির মতো আগলে রাখতে চাই।” একই সঙ্গে তিনি জানান, আলিপুর সেতুর নতুন নামকরণ হবে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় সেতু। ওই অনুষ্ঠানে গত স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডের কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে উৎকর্ষ প্রদানের জন্য ১৬টি স্কুল-সহ কলকাতা পুলিশের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সকে এ দিন পুরস্কৃত করা হয়। |