অবশেষে টলিনালার ধারের পাম্পিং স্টেশনগুলির সংস্কার করা হবে। এ জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানান, আপাতত কেএমডব্লিউএসএ-র নিয়ন্ত্রণে থাকা আটটি পাম্পিং স্টেশনের সংস্কার হবে। পরে বাকি পাম্পগুলিরও সংস্কার হবে। তাঁদের আশা, মাসখানেকের মধ্যে এই আটটি পাম্পের সংস্কারের কাজ শেষ হবে। পাশাপাশি পাইপলাইন সংস্কারেরও চিন্তা চলছে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, টলিনালার ধার বরাবর বিস্তীর্ণ অংশের নিকাশির জল আগে সরাসরি টলিনালায় পড়ত। ফলে, গঙ্গার দূষণ হত। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের প্রথম পর্যায়ে এই নিকাশির জল নর্দমার মুখে আটকে লিফ্টিং পাম্পের মাধ্যমে সরাসরি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পাঠিয়ে তা পরিশোধন করে টলিনালায় ফেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই এই নালার ধার বরাবর সিরিটি থেকে গড়িয়া পর্যন্ত ২৭টি পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছিল। কেএমডব্লিউএস-এ পাম্পগুলি বসায়। |
ঢালিপাড়া স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। |
২০০৭-এ কলকাতা পুরসভাকে ১৯টি পাম্প হস্তান্তর করা হয়। বাকি আটটি পাম্প কেএমডব্লিউএসএ-র হাতেই থাকে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, পুরসভা শুধু পাম্পগুলির দেখভাল করে। কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের (কেইআইপি) কাজ চলার সময়ে কয়েকটি পাম্পের সংস্কার হয়। কিন্তু পাম্পগুলির পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা ছিল। ফলে পাম্পগুলির ক্ষমতা বাড়ালেও পাইপলাইনে সমস্যা ছিল। কোথাও কোথাও লাইন বসে গিয়েছে। ফলে জল যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। পাম্পের পাশাপাশি পাইপলাইনেরও আমূল সংস্কার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুরসভা।
কেইআইপি-র ডিরেক্টর জেনারেল সৌম্য গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই পাম্পিং স্টেশনগুলি পাইপলাইনে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত। একটি অকেজো হলে অন্য পাম্পিং স্টেশনগুলিতেও তার প্রভাব পড়ে। কয়েকটি পাম্পিং স্টেশনের অবস্থা খুবই খারাপ। কেইআইপি এবং পুরসভা কয়েকটি পাম্পের মেরামতি করেছে। কিন্তু পাইপলাইনেরও সংস্কার দরকার।
এই কাজ কেএমডব্লিউএসএ-র করার কথা।” |
কুঁদঘাট লিফ্টিং পাম্পিং স্টেশন। |
পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, হস্তান্তরিত পাম্পগুলি পুরসভা নিজেই সারাবে। কিন্তু পাইপলাইন-সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকলে তা কেএমডব্লিউএসএ দেখবে। কেএমডিএ-র ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশন) রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অধিকাংশ পাম্প কলকাতা পুরসভা দেখভাল করে। মাত্র আটটি পাম্প কেএমডব্লিউএসএ-র নিয়ন্ত্রণে। আপাতত এইগুলির সংস্কার হবে। পরে পুরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা পাম্পগুলির সংস্কার হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’কোটি টাকা এসে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।” |