তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজ্যের বনবিভাগ, শিক্ষাবিভাগ ও স্বাস্থ্যবিভাগকে দেশের মধ্যে পয়লা নম্বরে তুলে আনতে চায় অসম। আজ এখানে এবিপি আয়োজিত, নবম ‘দ্য টেলিগ্রাফ-এনআইসিটি ২০১৩’ তথ্য-প্রযুক্তি সমাবেশের উদ্ধোধনে এসে এই ঘোষণা করেন রাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন।
রকিবুল বলেন, “পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ বাঁচাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের মধ্যে অগ্রণী স্থান নিয়েছে অসম। আমরা প্রতিটি বনাঞ্চলে রিমোট সেন্সিং, জিপিএস-এর ব্যবহার শুরু করেছি। কাছাড়, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জে বাঁশের চাষে জিআইএস ব্যবস্থার ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজিরাঙায় গন্ডার হত্যা রোধ ও নজরদারির জন্য আমরা চালকবিহীন গোয়েন্দা-বিমানও উড়িয়েছি। নিরাপত্তার কারণে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ওই বিমান ব্যবহারের অনুমতি না দিলেও আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছি।” হিমন্ত বলেন, “প্রতিবার এনআইসিটি’তেই আমি পরের বছরের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করি। আমার গর্ব, যে সেই লক্ষ্য পূরণে রাজ্য প্রতিবারই সফল। গত বার ঘোষণা করেছিলাম, রাজ্যে আইআইআইটি চালু করব। আজ থেকে ১৫ দিন আগে আমরা তা চালু করতে পেরেছি। শীঘ্রই গুয়াহাটির উপকন্ঠে ৭৫ একর জমিতে আইআইআইটির নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরির কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে টেলি-রেডিওলজি পরিষেবা, মা ও শিশু ট্র্যাকিং পরিষেবা চালু হয়েছে। খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ‘অসম মডেল’ প্রচলন করতে চান তিনি।”
এ বারের এনআইসিটিতে হিমন্তর প্রতিশ্রুতি, সব জেলার কলেজগুলিকে দেশ ও বিশ্বের তাবড় বড় কলেজের সঙ্গে ‘ভারচুয়াল ক্লাসরুম’ ও ‘নলেজ নেটওয়র্ক’-এ জুড়বেন। এই প্রকল্প শুরু হবে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজকে দিয়ে। এ ছাড়া তিনি জানান, এবার থেকে সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো সব রোগীর পরীক্ষার রিপোর্ট নির্দিষ্ট পাসওর্য়াডে সঞ্চিত থাকবে। টেলি-রেডিওলজি হোক বা নিজের অন্য কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট হোক—তা ওই রোগী বা তাঁর পরিবার নিজেরাই ইন্টারনেটে নিজস্ব পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ডাউনলোড করতে পারবেন। দু’ দিনের এনআইসিটি সমাবেশে তথ্য-প্রযুক্তির উপরে বিভিন্ন আলোচনাসভার সঙ্গে বিভিন্ন প্রদর্শনীও থাকছে। |