|
|
|
|
জাতীয় দাবা |
হ্যাটট্রিকের দিনেও স্পনসর খুঁজে চলেছেন মেরি অ্যান
সোহম দে • কলকাতা |
শেষ ল্যাপে বাজিমাত করাটা কি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন?
শুনে হাসছেন ৪০তম জাতীয় মহিলা দাবার চ্যাম্পিয়ন মেরি অ্যান গোমস। বৃহস্পতিবার বাইপাসের ধারে অভিজাত ক্লাবে জাতীয় সেরা হওয়ার হ্যাটট্রিকের দিনে এই প্রশ্নটাই ঘুরে ফিরে আসছিল বারবার। এ দিনও জয় এল টাইব্রেকে। দমদমের মেয়ে বলছিলেন “গত বারও শেষ ল্যাপে কিস্তিমাত করেছিলাম। এ বারও সেটাই হল।”
তিনে তিন। জাতীয় দাবায় ফের শেষ হাসি মেরি অ্যান গোমসের মুখে। কিন্তু খুশির দিনেও মেরির সাফল্যের আকাশে কালো মেঘ স্পনসরশিপ সমস্যা। তিন বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নের হতাশ মন্তব্য, “ঠিকঠাক স্পনসরশিপ পাচ্ছি না বলে বিদেশে অনেক ভাল টুর্নামেন্টে খেলতে পারছি না। যা খেললে আরও উন্নতি হত। বিদেশে গিয়ে খেলার খরচ অনেক। কোনও স্পনসর থাকলে অবশ্যই সাহায্য হত।”
এখানেই না থেমে তেইশ বছরের মেরি আরও বলছেন, “গ্র্যান্ডমাস্টার ট্রেনিংয়ের অনেক খরচ। কিন্তু তা পেলে ওপেনিং দানগুলো আরও ভাল দিতে পারব। শুধু জাতীয় স্তরে নয়। আন্তর্জাতিক দাবাতেও।” পাশে দাঁড়ানো বাবা চার্লস গোমসও বললেন, “অনেক জায়গায় ছোটাছুটি করেছি স্পনসরের জন্য। কেউ এগিয়ে আসেনি।” |
হ্যাটট্রিকের চুম্বন
সাক্ষী পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
|
এ দিন ইউবিআই জাতীয় মহিলা দাবা-র এগারো নম্বর রাউন্ডে গোয়ার ইভানা ফুর্তাদোর সঙ্গে ড্র করেন মেরি অ্যান। ফাইনাল রাউন্ডে পদ্মিনী রাউতের সঙ্গে অপ্রত্যাশিত ভাবে হারলেন সৌম্যা স্বামীনাথন। এবং টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই তানিয়া সচদেব হারালেন বোড্ডা প্রত্যুশাকে। যার ফলে এগারো রাউন্ড পরে মেরি অ্যান, তানিয়া ও সৌম্যার স্কোর হয় ৭.৫। কিন্তু একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতে অপরাজিত থাকার কারণেই চ্যাম্পিয়ন হলেন মেরি অ্যান।
জমজমাট প্রতিযোগিতার শেষে ট্রফির স্বাদ পেয়ে কিছুটা স্বস্তির মেজাজেই মেরি বলেন, “নিজের ম্যাচ ড্র করে ভেবেছিলাম টুর্নামেন্ট হেরে গেলাম। কিন্তু জিততে পেরে খুব ভাল লাগছে।” নিজের হ্যাটট্রিকের গোপন মন্তর জানতে চাইলেই বঙ্গকন্যা দেখিয়ে দিচ্ছেন ‘রুমমেট’ পদ্মিনী রাউতকে। সঙ্গে রসিকতা, “পদ্মিনী আজ হারলে বা ড্র করলে খেতাব জিততে পারতাম না। রুমমেট হওয়ার কর্তব্য পালন করল ও।”
যদিও পরক্ষণেই সিরিয়াস। বলছেন, “জয়ের সব কৃতিত্ব কোচ নীরজ মিশ্রর। দিনে বারো ঘণ্টা করে অনুশীলন করিয়েছেন।”
জাতীয় দাবা জিতে পরের বছরের দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল মেরি অ্যানের। এ দিন ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ও প্রাক্তন ফুটবলার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের অ্যাকাডেমির ছাত্রী চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় টুনার্মেন্টের উদ্যোক্তা ও গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়াও মেজাজে। স্প্রিং ক্লাবে তিনি বললেন, “আমার অ্যাকাডেমির ছাত্রী চ্যাম্পিয়ন। উদ্যোক্তা হয়ে এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে কি?”
|
পুরনো খবর: আজ চূড়ান্ত লড়াই |
|
|
|
|
|