|
|
|
|
নাইট ক্লাব বন্ধের হুমকি মারাদোনার |
‘সকাল সাতটাতেও বাজনা বাজবে, আমি নাচব’
সংবাদসংস্থা • বুয়েনস আইরেস |
বাঁ পায়ে তাঁর ফুটবল ম্যাজিক মন্ত্রমুগ্ধ করত টোকিও থেকে টেনেসি। কিন্তু সকাল সাতটায় নাইট ক্লাব খুলিয়ে রেখে গ্লাস ভর্তি বিয়ার কপালে নিয়ে তাঁর ট্যাঙ্গো নাচ দেখার ফুরসত যদি কর্তৃপক্ষের না থাকে?
ড্যান্সারের নাম দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা হলে লঙ্কাকাণ্ড যে বাঁধবেই তা হলফ করে বলা যায়। আর হয়েছেও তাই। ফুটবলের রাজপুত্র ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন, মারাদোনা আছেন মারাদোনাতেই।
সপ্তাহান্তে বাইশ বছর বয়সি বান্ধবী রোসিও অলিভেরাকে নিয়ে বুয়েনস আইরেসের নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব মারাদোনা। সঙ্গী ছিলেন তাঁর কিছু ব্যবসায়িক বন্ধু। রাতভর সেখানেই বৈঠক, খানা-পিনা। সঙ্গে ট্যাঙ্গো নাচ। যা চলে ভোর পর্যন্ত। তাল কাটল সকাল সাতটাতে গিয়ে। |
নাইটক্লাবে মারাদোনা-শো
কপালে বিয়ারের গ্লাস নিয়ে নাচ। যে ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
|
নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষ মারাদোনাকে বিনয়ের সঙ্গে বলতে গিয়েছিলেন, এ বার নাচ বন্ধ করতে হবে। কারণ এর পরে ক্লাব খোলা রাখার নিয়ম নেই। শুনে তাতে কান দেওয়া তো দূরের কথা, উলটে আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলে দেন, “আরও আধঘণ্টা ক্লাব খোলা রাখুন। বাজনা চালু রাখুন। এখন নাচছি। বিরক্ত করবেন না।”
সেই আর্জি মালিক না রাখলে রাগে অগ্নিশর্মা দিয়েগোর হুমকি, “মিউজিক বন্ধ করলেই আমি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী গুইলেরমো মোরেনোকে ফোন করব। ও-ও আমার বন্ধু। তোমার নাইট ক্লাব বন্ধ করিয়ে দেব...।” শুনে নাইট ক্লাব মালিক আর কথা বাড়াননি। তবে সেখানে হাজির কারও মোবাইল ফোনে ভিডিওর সুবাদে সেই ফুটেজ চলে এসেছে মিডিয়ার হাতে।
অতীতে সমর্থকদের তেড়ে যাওয়া, মাদকাসক্তি, অবৈধ পিতৃত্ব, সাংবাদিকদের দিকে এয়ারগান থেকে গুলি চালানো, মারধরের নজির রয়েছে মারাদোনার। এ বার নতুন কেলেঙ্কারি বাঁধিয়ে ফের সমালোচনার মুখে তিনি। যদিও মারাদোনা বিষয়টিকে পুরোপুরি উপেক্ষাই করেছেন। কোনও মন্তব্য করেননি। |
বান্ধবী রোসিও-র সঙ্গে। |
বরং বুধবার ফের চেনা মেজাজে মুতোড় সমালোচনা করেছেন লাতিন আমেরিকার ফুটবল কনফেডারশন (কনমেবল)-কে। মারাদোনা বলেছেন, “লাতিন আমেরিকায় ফুটবলটা কয়েক জন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির সম্পত্তি হয়ে গিয়েছে। এটা দুঃখের। স্বচ্ছ প্রশাসনের জন্য ওই লোকগুলোর মুখোশ খুলে দিতেই কমিশন গড়ছি আমরা।” এই লড়াইতে মারাদোনা আবার পাশে পেয়ে গিয়েছেন প্রতিবেশী দেশের আর এক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফুটবলার ব্রাজিলের রোমারিওকে। যদিও কনমেবল কর্তারা মারাদোনার এই হুঙ্কারকে তেমন গুরুত্ব দেননি। সংস্থার মুখপাত্র নেস্তর বেনিতেজ বলেছেন, “প্রত্যেকেরই মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন।” |
|
|
|
|
|