|
|
|
|
|
নাদালের সার্ভিসেই অর্ধেক মাত
সংবাদসংস্থা • নিউইয়র্ক |
|
রাফা বনাম রজার মহালড়াই হওয়ার তুমুল সম্ভাবনা ছিল যে ম্যাচে, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সেই কোয়ার্টার ফাইনালে নাদাল জিতলেন হেসেখেলে। ফেডেরার সংহারক টমি রব্রেদো-কে উড়িয়ে দিলেন ৬-০, ৬-২, ৬-২। স্বদেশি স্প্যানিশের সঙ্গে সেই ছোটবেলা থেকে পাশাপাশি টেনিস প্লেয়ার হিসেবে বেড়ে উঠেছেন নাদাল। তা সত্ত্বেও রব্রেদো সামান্যতম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। আবার সেমিফাইনালে নাদালের সামনে যিনি, সেই ফরাসি চ্যালেঞ্জার রিচার্ড গাস্কে বলেছেন, “রাফাকে কখনও হারাইনি। শেষ বার ওকে যখন হারিয়েছি তখন আমি তেরো বছরের শিশু। ফলে সেটা ধরার কোনও মানে হয় না।”
স্বয়ং নাদাল আবার রব্রেদোকে হারিয়ে বলেছেন, “হার্ডকোর্টে এ মরসুমে টানা কুড়িটা ম্যাচ জিতলাম। এখনও হারিনি। সবই সত্যি। তবে আমার কাছে আসল ব্যাপার, এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে আজই সেরা ম্যাচ খেললাম। প্রতি দিনই আগের দিনের চেয়ে একটু বেশি ভাল খেলতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।” যার পিছনে টেনিস বিশেষজ্ঞরা প্রধান ফ্যাক্টর মনে করছেন, সাত মাসের চোটের পর পেশাদার ট্যুরে ফেরা নাদালের সার্ভিসে অসাধারণ উন্নতি ঘটাকে। |
|
নাদাল বলতেই নিজের কোর্টের অসম্ভব সব কোণ থেকে রিটার্ন আর বিপক্ষের কোর্টের সব অবিশ্বাস্য কোণে বল পাঠানোই সবার আগে মনে পড়ে। এর পাশাপাশি ফ্লাশিং মেডোয় ক্লে কোর্ট সম্রাটের র্যাকেটে যোগ হয়েছে, অসাধারণ তীক্ষ্ণ সার্ভিস। এখনও পর্যন্ত একবারও সার্ভিস ব্রেক হয়নি নাদালের। প্রথম সার্ভিসের সাফল্যের শতাংশ (৮৫-র উপর) তো দুর্ধর্ষ-ই। দ্বিতীয় সার্ভ সঠিক হওয়ার শতকরা হারও (৭০-এর বেশি) দুরন্ত।
মেয়েদের শেষ চারে আবার ‘ওটি’-দের ভিড়ে তরুণ প্রজন্মের একমাত্র প্রতিনিধি আজারেঙ্কা। শুক্রবার একটা সেমিফাইনালে ৩২-এর সেরেনা বনাম ৩১-এর লি না। অন্য সেমিফাইনালে চব্বিশ বছরের আজারেঙ্কা ৩১-এর পেনেত্তার সামনে। সারা জীবনের বন্ধু (সব টুর্নামেন্টে রুমমেট) স্বদেশীয় ইতালীয় রবার্তা ভিঞ্চিকে ৬-৪, ৬-১ হারিয়ে জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনালে উঠেছেন ফ্লাভিয়া পেনেত্তা। অন্য দিকে, আর এক ‘ওটি’ হান্টুকোভাকে ৬-২, ৬-৩ হারিয়ে শেষ চারে গত বারের রানার্স আজারেঙ্কা। কিন্তু এ বার ফ্লাশিং মেডোয় পেনেত্তার ধারাবাহিকতা অসাধারণ। পাঁচটা ম্যাচে একটাও সেট হারেননি। সব মিলিয়ে নষ্ট করেছেন মাত্র ২৫ গেম।
|
পুরনো খবর: এগোলেন নাদাল, অঘটন ঘটিয়েই চলেছেন পেনেত্তা |
|
|
|
|
|