রেল স্টেশনের স্টল সিল করা নিয়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কিছুটা কাটল বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। এ দিন খড়্গপুর রেলের ডিআরএম অফিসে দীর্ঘ আলোচনার পর বন্ধ হওয়া চারটি স্টলে টেন্ডার ডাকা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও রেল কর্তৃপক্ষের ভাবনাচিন্তা করার আশ্বাসে সন্ধ্যায় অন্য ৬২টি স্টলের কর্মীদের কর্মবিরতি উঠে যায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ও বুধবার খড়্গপুর রেল স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের এক ঠিকাদারের চারটি খাবারের স্টল অনুমোদন না থাকার কথা বলে সিল করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এর জেরে ওই স্টলগুলির প্রায় ২৫ জন কর্মী কর্মচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় বুধবার বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনে সামিল হয়ে অন্য স্টল, গুমটি, ট্রলি মিলিয়ে ৬২টি দোকানের প্রায় তিনশো কর্মী। কর্মবিরতি পালন করে তাঁদের পাশে দাঁড়ায় তিনটি শ্রমিক সংগঠনই। ফলে স্টেশনে খাবার ও পানীয় না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
এ দিনের বৈঠকের পর ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “স্টেশনের বাকি স্টলের কর্মবিরতি তুলে দোকান খোলার জন্য বলেছিলাম। আমার আশা কর্মবিরতি উঠে যাবে। সমস্ত নথি দিয়ে জেনারেল ম্যানেজারের কাছে ওঁদের একটা আবেদন করতে বলেছি। ততক্ষণ পর্যন্ত টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে না।” যদিও টেন্ডার প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্থগিত না হওয়ায় চারটি স্টল খোলা এখনও অনিশ্চিত। শ্রমিক নেতা দেবাশিস চৌধুরী, অরবিন্দ পাণ্ডে এবং বিপ্লব ভট্টরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্টল খোলায় ঢিলেমি হলে ফের আন্দোলন শুরু হবে। |