|
|
|
|
স্টেশনে স্টল বন্ধের জেরে ব্যাহত পরিষেবা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রেল শহরে দোকান সিল করাকে কেন্দ্র করে স্টল কর্মীদের বিক্ষোভ ও কর্ম বিরতিতে বুধবার বিপর্যস্ত হল যাত্রী পরিষেবা।
বুধবার বেলা বেলা ১০টা নাগাদ খড়্গপুর স্টেশনের এক ও দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে রেলের ক্যাটারিং সংস্থার অর্ন্তভুক্ত কয়েকটি স্টল সিল করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এর পরেই একই কাজে নিযুক্ত অন্য স্টলের হকার-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে গুরুত্বপূর্ত এই জংশন স্টেশনের এ দিন কোনও পানীয় ও খাবার না পাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে খড়্গপুর স্টেশনে বড় স্টল, গুমটি ও ট্রলি মিলিয়ে প্রায় ৬২টি খাবারের দোকান রয়েছে। এগুলি রেলের ক্যাটারিং সংস্থা আইআরসিটিসি অনুমোদিত। এত দিন ভালই চলছিল। সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে সেগুলির মধ্যে ৪টি দোকানের কোনও বৈধ চুক্তিপত্র নেই। রেল সূত্রে খবর, ওই চারটি দোকানেরই মালিক এক ঠিকাদার। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরে তিনি চুক্তিপত্রের জন্য টাকা জমা করেছেন অভিযোগ তুলে আইআরসিটিসি চুক্তি বাতিল করেছে বলে জানিয়ে দেয় রেলকে। মঙ্গলবার চুক্তিপত্র এই দাবিতে রেল কর্তৃপক্ষ ওই চারটি স্টল বন্ধ করতে যান। কিন্তু, বাধার মুখে পড়ে একটি স্টল বন্ধ করে ফিরে আসতে বাধ্য হন রেলের কাস্টমার বিভাগের কর্তারা। পরে ফের রেল পুলিশ ও রেল সুরক্ষা বাহিনীকে নিয়ে গিয়ে বাকি তিনটি দোকান বন্ধ করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এর পরেই আইএনটিটিইউসি, সিপিআইয়ের এআইটিইউসি ও আইএনটিইউসি-র হকার সংগঠনের সমস্ত কর্মীরা একজোট হয়ে স্টেশনের সমস্ত স্টল বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মিছিল করেন ডিআরএম অফিস পর্যন্ত। তাঁদের অভিযোগ, ওই চারটি স্টলের ঠিকাদাররা বৈধ অনুমতিপত্র পাওয়া সত্ত্বেও সেগুলি সিল করা হচ্ছে। ফলে পুজোর মুখে কর্মচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় ওই স্টলের প্রায় ২৫ জন কর্মীর পাশে দাঁড়ায় বাকি ৬২টি স্টলের প্রায় তিনশো কর্মীও। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের তুষার চৌধুরী, কংগ্রেসের ডি এন সিংহ ও এআইটিইউসি-র বিপ্লব ভট্ট। পরে ডিআরএমের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তবে সমাধান সূত্র না মেলায় ওই কর্মীদের কর্মবিরতি চলছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই ঠিকাদারের সমস্ত বৈধ নথি রয়েছে। কিন্তু রেল ও আইআরসিটিসি চুক্তিপত্র দেওয়ার তারিখের হেরফের করায় সমস্যা হয়েছে। তা ঠিক করে অবিলম্বে ওই দোকান খোলার দাবি জানানো হয়। এমনকী কাল, শুক্রবারও স্টেশনের সমস্ত স্টল বন্ধ থাকবে বলে
জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন এই খড়্গপুর। এই স্টেশনের ওপর দিয়েই এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার মিলিয়ে মোট ১৫৭ জোড়া ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করে। কিন্তু এ দিন সমস্ত খাবারের স্টল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানীয় ও খাওয়ার না পেয়ে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। অনেক দূরপাল্লার ট্রেনেই ক্যাটারিং পরিষেবার প্রয়োজনীয় খাবার এই স্টেশন থেকেই বোঝাই করা হয়। এ দিন তা না হওয়ায় সমস্যা বাড়ে দূরপাল্লার যাত্রীদের। খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যাত্রীদের সুবিধার জন্য আমরা নিজস্ব কর্মী দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। |
|
|
|
|
|