বিদায়ী সভাধিপতি, প্রাক্তন মন্ত্রীর রক্ষী প্রত্যাহারে প্রশ্ন
কের পর এক সিপিএম নেতানেত্রীর নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করা নিয়ে শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী, বিদায়ী সভাধিপতি প্রমুখ। জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য দু’জন রক্ষী পেতেন। বুধবারই তাঁর নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত মাসে রক্ষী প্রত্যাহার হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী নন্দরানি ডলের। তাঁরও দু’জন রক্ষী ছিল। আগেও বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতার নিরাপত্তারক্ষী প্রতা্যাহার করা হয়েছে। এখনও নতুন সভাধিপতি নির্বাচন হয়নি। তার আগেই কেন বিদায়ী সভাধিপতির রক্ষী প্রত্যাহার?
রক্ষী প্রত্যাহারের ব্যাপারে কোনও মন্তব্যই করতে রাজি হননি জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। এক প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য, “এ ব্যাপারে কিছু বলব না।”
রাজ্যে পালাবদলের পরপর একের পর এক তৃণমূল নেতা নিরাপত্তারক্ষী পেয়েছেন। অন্যদিকে, একের পর এক সিপিএম নেতার রক্ষী প্রত্যাহার করা হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাস থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজন বিধায়ক সহ ছ’জন তৃণমূল নেতা জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি, শালবনির বিধায়ক তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায় এবং দলের নয়াগ্রাম ব্লক সভাপতি তথা নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। যদিও পুলিশের এক সূত্রের দাবি, এই সব নেতাদের ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তাই রয়েছে। ওই সূত্রের বক্তব্য, শাসক দলের বেশি সংখ্যক নেতার রক্ষী থাকবে, বিরোধী দলের কম সংখ্যক নেতার রক্ষী থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, রক্ষী তাঁদেরই দেওয়া হয়, যাঁদের উপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণত, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কম হয়। শুধু শাসক দলের বিধায়ক কিংবা পদাধিকারীরাই নন, বেশ কয়েকজন জেলা নেতাও ইতিমধ্যে নিরাপত্তারক্ষী পেয়েছেন। তালিকায় নাম রয়েছে কেশপুরের নেতা ইমদাদুল ইসলাম, মেদিনীপুরের নেতা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখের।
সিপিএমের হাতে গোনা যে ক’জন নেতার এখনও রক্ষী রয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দীপক সরকার, ডহরেশ্বর সেন প্রমুখ। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা জেলা সম্পাদক দীপকবাবুর দু’জন রক্ষী রয়েছে। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা কৃষকসভার জেলা সভাপতি ডহরেশ্বরবাবুরও দু’জন রক্ষী রয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ- সভাধিপতি নির্বাচন রয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে ইতিমধ্যে উত্তরা সিংহের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তার আগে বিদায়ী সভাধিপতির রক্ষী প্রত্যাহার নিয়ে শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে। অন্তরাদেবী বলছেন, “দু’জন নিরাপত্তারক্ষী রিলিজ চেয়েছিলেন। ওঁদের রিলিজ করে দিয়েছি। মানুষই আমাদের রক্ষাকবচ।”

পুলিশ সুপারের মুখে কুলুপ
• নতুন সভাধিপতি নির্বাচনের আগেই বিদায়ী সভাধিপতির নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার।
• গত মাসে রক্ষী প্রত্যাহার প্রাক্তন মন্ত্রী নন্দরানি ডলের।
• দু’জনেরই দু’জন করে রক্ষী ছিল।
• এখনও রক্ষী আছে সিপিএম নেতা দীপক সরকার, ডহরেশ্বর সেনের।
• তৃণমূলের চার বিধায়ক-সহ জেলার ছ’জন দলীয় নেতার জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.