পরপর দু’দিনের চুরির ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসল সল্টলেক পুলিশ কমিশনারেট। তাই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এ বার একাধিক পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করেছেন কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো পর্যন্ত এলাকায় চালানো হবে বিশেষ নজরদারি অভিযান।
চলতি সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকে বি ই ও সি এফ ব্লকে বাড়ির লোকের উপস্থিতিতেই চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে একাধিক পদস্থ-উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে রাতের নজরদারি খতিয়ে দেখে আসেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সল্টলেক ও পার্শ্বস্থ এলাকায় প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে পুলিশ কর্মীদের নজরদারি ও রাতের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সূত্রের খবর, কমিশনারেট এলাকায় রাতভর নজরদারির কিছু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দেখে পুলিশ কর্তারা অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। বিশেষত খালপাড়, বাইপাস সংলগ্ন কয়েকটি প্রবেশপথের অরক্ষিত অবস্থা কর্তাদের চোখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কমিশনারেট তৈরির পরে সল্টলেকের প্রবেশপথগুলিতে, বিশেষত কেষ্টপুর ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল পাড়ের দিকে নজরদারি ব্যবস্থা মজবুত করা হয়েছিল। পাশাপাশি, টহলদারি ও গ্রিন পুলিশের নজরদারিতে মোড়া ছিল সল্টলেক। এ সব এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির মতো ঘটনায় যুক্ত একাধিক অপরাধী গ্রেফতারও হয়। এর জেরে গত সাত-আট মাসে অপরাধের মাত্রা কমে যায়। কিন্তু পুজোর মুখে ফের পর পর দু’টি চুরির ঘটনা ঘটে। এক পুলিশ কর্তা জানান, অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় নজরদারিতে কিছুটা শিথিলতা এসেছিল। পুজোর আগে অপরাধ প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই পুজো পর্যন্ত বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
সূত্রের খবর, এ ছাড়াও একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
যেমন, প্রতিটি থানা এলাকায় টহলদারির জন্য অতিরিক্ত একটি করে গাড়ি বাড়ানো হচ্ছে। রাতে বেশি সংখ্যায় পুলিশকর্মীদের নামানোর পাশাপাশি খাল সংলগ্ন প্রবেশপথগুলির ক্ষেত্রেও বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। |