স্ত্রীকে খুনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে এজলাসের ভিতরেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন অমল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার কাছনাগাছির বাসিন্দা অমলবাবু ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর স্ত্রী সুচিত্রা মণ্ডলকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার ইসলামপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক সঞ্জীব শর্মা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে নিজের ঘরে চলে যাওয়ার পরেই অমলবাবু কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারপরেই সেখানেই আচমকা পকেট থেকে একটি শিশি বার করে তা থেকে কীটনাশক গলায় ঢেলে নেন। তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁকে কাঠগড়ায় তোলার সময়ে কেন ঠিক মতো তল্লাশি করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
ওই আদালতের সরকারি আইনজীবী কাইজার চৌধুরী জানান, এজলাসে তখন অনেকেই ছিলেন। কিন্তু সবার নজর এড়িয়ে অমল বিষ খেয়ে নেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী বাবলু মজুমদার বলেন, “আদালতের রায়ে আমিও সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাব।” |