শুধু আলিপুরদুয়ার নয়, উত্তরবঙ্গের আরও অন্তত দু’টি জেলায় বিস্ফোরণের ছক কষেছিল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও। আলিপুরদুয়ার বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃতদের জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
পুলিশের দাবি, আলিপুরদুয়ারের মতোই বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল কোচবিহার এবং মালদহ জেলার কয়েকটি জায়গায়। বেশ কিছু দিন ধরে তারা শিলিগুড়িতে অস্ত্রও মজুত করছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আলিপুরদুয়ার বিস্ফোরণের পরে ধৃতদের জেরা করে এমনই বেশ কিছু তথ্য হাতে আসার পরে উত্তরবঙ্গ জুড়ে তাই বিশেষ সতর্ক বার্তা জারি করেছে পুলিশ। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র দফতরেও জানানো হয়েছে। মহাকরণ থেকে পাল্টা নির্দেশ দেওয়া হয়, শুধু আলিপুরদুয়ার নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করার। |
তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত ২৯ অগস্ট আলিপুরদুয়ারে চৌপথি এলাকায় উদ্ধার হওয়া বোমাটি নিয়ে আসা হয়েছিল নেপাল থেকে। তবে সরাসরি আলিপুরদুয়ার নয়, সেটি এনে প্রাথমিকভাবে রাখা হয়েছিল শিলিগুড়িতে। সেখান থেকে সড়ক পথ এড়িয়ে রেলপথে তা আনা হয় আলিপুরদুয়ারে। তারপর একটি পুরনো সাইকেলে বেঁধে সেটিকে চৌপথিতে নিয়ে আসে কেএলও-র পুরনো সদস্য নিত্যা ওরফে জামাই। জেরায় ধৃতেরা এমনই কবুল করেছে বলে দাবি পুলিশের।
পুরো বিষয়টি তদারকি করে কেএলও জঙ্গি টম অধিকারী। বিস্ফোরণের পর কি ঘটছে তা অনুপুঙ্খ জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় গৌরাঙ্গকে। ঘটনার পরে ময়নাগুড়ি থেকে পুলিশ গৌরাঙ্গকে গ্রেফতার করে। বুধবার ধৃতদের আলিপুরদুয়ার আদালত তোলা হলে বিচারক তাদের ফের তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
|