সরকারি হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন এক প্রসূতির আত্মীয়। ঘটনাটি ঘটেছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। সোমবার এ ব্যাপারে হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রসূতিদের চিকিৎসা সংক্রাম্ত এবং ওষুধের কোনও খরচ লাগে না। কিন্তু কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামের বাসিন্দা শাহাজান শেখের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের সন্তান প্রসবের পরে বাইরের ওষুধের দোকান থেকে টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে হয়েছে। শাহাজান শেখ বলেন, “আমার মেয়ে বিলকিস বিবির প্রসব বেদনা শুরু হওয়ায় বুধবার তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার মেয়ের অস্ত্রোপ্রচার করে সন্তান প্রসব করানো হয়। সোমবার হাসপাতালের এক চিকিৎসক মেয়েকে দেখার পর চিরকূটে ওষুধের নাম লিখে বাইরের ওষুধের দোকান থেকে কিনে আনতে বলেন। সেখানে ওষুধের দাম আমার কাছ থেকেই নেওয়া হয়।” |
এরপর তিনি বিষয়টি হাসপাতাল সুপারকে জানান। খবর যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কানেও। স্থানীয় বাসিন্দা উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রসূতির পরিবারকে টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে হচ্ছে এই কথা শুনে ওই ব্যক্তিকে সুপারকে অভিযোগ জানাতে বলি।” স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস দাসের অভিযোগ, “এই রকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। আমরা চাই বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখুক।” সরকারি হাসপাতালে প্রসূতিদের যাবতীয় ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রচার করার দাবিও তুলেছেন বাসিন্দারা।
হাসপাতালের সুপার অভিরূপ মণ্ডল বলেন, “প্রসূতিদের সব ওষুধই হাসপাতালের দেওয়ার কথা। কিন্তু অনেক সময় চিকিৎসক যে ওষুধ লেখেন সেটি নিজেদের কাছে না থাকায় বাইরের দোকান থেকে কিনতে বলা হয়।” তাঁর দাবি, “যে দোকান থেকে ওষুধ কেনা হয়, তাঁদের ওষুধের বিল হাসপাতালের থেকে নেওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন এরকম ঘটনা ঘটল সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।” |