পুলিশের মধ্যেও সচেতনতার অভাব!
অন্তত স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে এমনটাই দেখা যাচ্ছে। তাই প্রতিটি পুলিশ কর্মীই যাতে স্বাস্থ্য বিমা করেন সে জন্য সচেতনতা তৈরি করতে জেলা জেলায় সচেতনতা শিবির করা হচ্ছে পুলিশের উদ্যোগেই। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এমনই এক শিবিরের আয়োজন করা হল। শুধু স্থায়ী পুলিশ কর্মীরাই নন, এবার থেকে বিমার আওতায় এনভিএফ, ভিলেজ পুলিশ, সিভিক পুলিশ, হোমগার্ড সহ সব ধরনের কর্মীদেরই বিমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে ডিজি (আর্মড পুলিশ) অনিল কুমার জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বর্তমানে চিকিৎসা খরচ যে হারে বেড়েছে তাতে স্বাস্থ্যবিমা অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখনও পুলিশ কর্মীদের মধ্যে সেই সচেতনতা তৈরি হয়নি। তাই শিবির করে বিষয়টি বোঝাতে হচ্ছে।” |
২০০৪ সাল থেকে পুলিশের জন্য আলাদা করে বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জাতীয় বমা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেই এটা করা হয়। কিন্তু ১০ বছরেও সমস্ত পুলিশ কর্মীদের বিমার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। রাজ্যের প্রায় ৬৫ হাজার পুলিশের মধ্যে ৪৮ হাজারের মতো পুলিশ কর্মীদের বিমার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাকিরা কেন করছে না? পুলিশ কর্তাদের কথায়, বুঝিয়েও ফল হচ্ছে না। বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার পুলিশের এক চালক এভাবেই বিমা করতে রাজি হননি। মোর্তাজা নামে ওই চালকই প্রথম দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন বলে ডিজি জানান। এমনকি সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও যাঁর মৃত্যু হয়েছিল তাঁরও বিমা ছিল না বলে তিনি জানান। এসব উদাহরণ দিয়েই সকল পুলিশ কর্মীদের বোঝানো হচ্ছে, বিমা অতি গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য বিমায় বছরে ৩২০০ টাকা দিলেই হবে। তাতে পরিবারের ৬ জন সুবিধে পাবেন। প্রিমিয়াম জমা দেওয়া যায় চার কিস্তিতে। এর জন্য দুর্ঘটনা ছাড়াও হৃদরোগ, ক্যান্সারের মতো ৫টি গুরুত্বপূর্ণ রোগের চিকিৎসার জন্যও বিমা থেকে অর্থ পাওয়া যায়। যার পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও পুলিশের কেন্দ্রীয় ওয়েলফেয়ার তহবিল থেকে আরও ১ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। আবার ভিলেজ পুলিশ, এনভিএফদের জন্য প্রিমিয়ার খরচ খুবই কম। বছরে মাত্র ৯৭০ টাকা। যেখানে ৫০ হাজার টাকার চিকিৎসার সুবিধে মিলবে। |