দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন চালিয়ে এক তরুণী বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি আর্ট স্কুলের কর্ণধারের বিরুদ্ধে। বুধবার ওই তরুণীর মা শিলিগুড়ি থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্ট স্কুলের কর্ণধার সোমেশ ঘোষের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ মামলা রুজু করলেও অবশ্য সোমেশবাবুকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “অভিযোগ পেয়ে সোমেশবাবুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ দিন বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও দেখা যায়, সোমেশবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ। তাঁর বাবা টি কে ঘোষ বলেন, “আমার ছেলে বিবাহিত। সন্তানও রয়েছে। কিন্তু আলাদা থাকে। আলাদা ব্যবসা করে। কিছু বলতে পারব না।” যদিও সোমেশবাবুর আইনজীবী অখিল বিশ্বাস দাবি করেছেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, “মৃতা মানসিক রোগে ভুগছিলেন। সেটা যথাসময়ে প্রমাণ করে দেওয়া যাবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর বাবার বাড়ি শিলিগুড়ি শহরেই। রবিবার বাবার বাড়িতে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। তাঁর মৃত্যুর পরে আট পৃষ্ঠার একটি ‘সুইসাইড নোট’ বাড়ির লোকজন পান। ওই চিঠির ভিত্তিতে বাড়ির লোকজন থানায় গিয়ে অভিযোগ জমা দেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সোমেশবাবু হিলকার্ট রোডে দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটি চালাচ্ছেন। সেখানেই কর্মরতা ছিলেন ওই তরুণী। |