কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউকে ঘিরে সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক রাজর্ষি চক্রবর্তীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি পুরুলিয়ার জয়পুরের বিক্রমজিৎ গোস্বামী মেমোরিয়াল কলেজের।
বুধবার ওই কলেজে ইতিহাসের অতিথি-শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। রাজর্ষিবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসাবে ওই নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ বোর্ডে হাজির ছিলেন। রাজর্ষিবাবু জানান, মোট ছ’জন প্রার্থী এসেছিলেন। এক জনের ৫৫ শতাংশের কম নম্বর থাকায় তিনি বাদ পড়ে যান। তাঁর অভিযোগ, “ইন্টারভিউ নেওয়ার পরে নিয়োগের প্যানেল কলেজের অধ্যক্ষের হাতে দিতে যাই। এই সময় বোর্ডে উপস্থিত থাকা ওই কলেজেরই পরিচালন সমিতির সভাপতি কীর্তন মাহাতো আমাকে বলেন, তাঁর প্যানেল অধ্যক্ষকে জমা দিতে হবে। তিনি একটি নামের তালিকা আমার হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আপত্তি করায় তিনি আমাকে হুমকি দেন।”
রাজর্ষিবাবু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশে এখনও অভিযোগ করেননি। জয়পুরের কলেজটির অধ্যক্ষ অসিত মাহাতো বলেন, “এ দিন আমি কলেজের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। রাজর্ষিবাবু নিয়োগের প্যানেল আমার হাতে জমা দিয়েছেন। ইন্টারভিউ রুমে কী হয়েছে, তা আমি বিশদে জানি না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ সমূহের পরিদর্শক প্রিয়নাথ হালদার বলেন, “রাজর্ষিবাবু আমাকে সব কথা জানিয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলব।” গত বিধানসভা ভোটে জয়পুর কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে হেরে যান কীর্তনবাবু। হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে এ দিন কীর্তনবাবু বলেন, “উনি ওই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, এটা ঠিক। তার মানে এই নয় যে, উনি যে তালিকা দেবেন, সেটাই চূড়ান্ত হবে। তা হলে পরিচালন সমিতি থাকার কী মানে? যাঁরা বোর্ডে ছিলেন, তাঁরা সবাই তালিকা জমা দেবেন। তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত নিয়োগ হবে। সে কথাই ওঁকে বলেছিলাম।” |