স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। ধৃত সমীর দাসের ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর থানার আতপুরে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাড়িতে একা থাকার সুযোগে তাকে সমীর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার জগদ্দল থানায় ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়। বুধবার ভোরে সমীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বক্তব্য, “সমীর আমাকে বোন বলে ডাকত। তারপরেও কি করে এমন অসম্মান করল ভাবতে পারছি না।’’ পুলিশের কাছে ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করেছেন, দুই বাড়িতে সুসম্পর্কের কারণে যাতায়াত ছিল। অভিযুক্ত যুবকও তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত করত। তাঁর মেয়েও অভিযুক্তের বাড়িতে প্রায়ই যেত। তাই বাড়িতে মেয়ে একা থাকলেও সমীরের আসাযাওয়া নিয়ে সন্দেহ ছিল না। এমনকী ঘটনার পরে তাঁরা এতটাই হতবাক হয়ে যান যে, অভিযোগ করতে পরের দিন দুপুর গড়িয়ে যায়। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান দেবাশিস বেজ বলেন, ‘‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ |
শিক্ষকদের আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে আটকে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট নতুন চক্রের অধীনে দক্ষিণ কোদালিয়া গ্রামের অরবিন্দ এফ পি স্কুলে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক না থাকায় মিড-ডে মিল বন্ধ, সংখ্যালঘুদের বৃত্তি প্রদানের জন্য ফর্ম জমা দিতে না পারা এবং বয়সের প্রমাণপত্র না পাওয়া যাচ্ছে না-- এই সমস্ত অভিযোগ তুলে এ দিন বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষ। শেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্কুলের শিক্ষক শুভাশিস মজুমদার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ তুলে নেন। |
ছাত্র অন্ত প্রাণ। সকালে এক প্রস্থ ছাত্র পড়িয়ে স্কুলে। স্কুল থেকে ফিরে ফের ছাত্র পড়ানো। বসিরহাটের টাকি রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের শিক্ষক দেবেন্দ্রনাথ সামুই বিশ্বাস করেন সেই মূল্যবোধে, যা তিনি শুনেছিলেন তাঁর ছোটবেলায়, বিদ্যা দান করতে হয়। তার বিনিময় বলে কিছু নেই। সেই মূল্যবোধ থেকেই বছরের পর বছর ছাত্র পড়িয়ে চলেছেন বিনা পারিশ্রমিকে। মাস্টারমশাই হিসাবে খ্যাতি ছড়িয়েছে। ফলে বেড়েছে পড়ুয়ার সংখ্যা। তাতে তাঁর সমস্যা নেই। ছাত্রদের কাছে তাঁর একটাই চাওয়া, তাঁরা যেন ভাল ফল করে। ভাল সমাজ গড়ে দেশ ও জাতির মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়। সেটাই তাঁর গুরুদক্ষিণা। মাস্টারমশায়ের কথায়, “প্রকৃত শিক্ষাই সমাজ পরিবর্তনে বাধ্য করে মানুষকে। সেই শিক্ষাটুকু সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করি।” আর অভিভাবকেরা কী বলেন? তাঁদের কথায়, এমন মানুষ এবং শিক্ষক এখন বিরল। ওঁর জন্য টাকির মানুষ গর্বিত।
|