|
|
|
|
নন্দীগ্রামের দুই নিখোঁজ কিশোরী উদ্ধার মুম্বইয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামের নিখোঁজ দুই কিশোরীকে মুম্বইয়ের যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নন্দীগ্রামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ওই দুই কিশোরীকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারকের নির্দেশে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গ্রেফতার হওয়া যুবক পঞ্চানন দাসকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের গোকুলনগর হাইস্কুলের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রী স্থানীয় একটি গ্রামের একই পাড়ার বাসিন্দা। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ওই দুই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তাঁদের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল নন্দীগ্রামের তারাচাঁদবাড় গ্রামের যুবক পঞ্চানন দাস ও তাঁর এক বন্ধু। বছর বাইশের যুবক পঞ্চানন মুম্বইয়ে একটি ঠিকাদার সংস্থায় কাজ করতেন। গত ২৬ মে ওই দুই কিশোরী হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এদের মধ্যে এক কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রাম থানায় নিঁখোজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ পঞ্চাননের খোঁজ পায়। কিন্তু সেই সময়ে নন্দীগ্রামের বাড়িতে ছিলেন না পঞ্চানন। পরে গত অগস্ট মাসে পুলিশ পঞ্চাননকে গ্রেফতার করে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই দুই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে। এরপর পুলিশ তাঁর ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে জানতে পারে, পঞ্চানন ওই দুই কিশোরীকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুম্বইয়ের থানে জেলার শিলাগড় থানার কল্যাণগড় এলাকার একটি বহুতলের ঘর থেকে ওই দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে। তাঁদের আটকে রেখে বেআইনি ব্যবসা চালানোর অভিযোগে সেখান থেকে এক দম্পতিকেও গ্রেফতার করা হয়। বুধবার নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ওই দুই কিশোরীকে হলদিয়া আদালতে হাজির করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ ও নাবালিকা পাচারের অভিযোগে পঞ্চাননের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। |
|
|
|
|
|