|
|
|
|
হেলিপ্যাড অরবিন্দ স্টেডিয়ামে,
বিদ্যাসাগর হাইস্কুলে অনুষ্ঠান-মঞ্চ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ঘাটাল শহরের বিদ্যাসাগর হাইস্কুলে আসছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই প্রথম ঘাটালে আসবেন কোনও রাষ্ট্রপতি। তাই মহকুমা জুড়ে সাজো-সাজো রব।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল দশটা চল্লিশ মিনিটে কপ্টারে ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে নামবেন প্রণববাবু। পরে গাড়িতে করে বিদ্যাসাগর হাইস্কুলে আসার সম্ভাব্য সময় সকাল দশটা পঁয়তাল্লিশ মিনিট। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা থাকবেন। তারপর সেখান থেকেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মেদিনীপুর যাবেন। ফলে এখন শুধু স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়, চরম ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনঘন বৈঠক, মঞ্চ দেখভাল করা থেকে কোথায় হেলিপ্যাড হবেসব রকম প্রস্তুতিই চলছে জোরকদমে। এমনকী কপ্টার থেকে গাড়িতে করে স্কুলে আসার রাস্তার কাজ করছেন পূর্ত বিভাগের (সড়ক) বাস্তুকাররা। নিরাপত্তা দিক খতিয়ে দেখতে জেলার পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা প্রতিদিনই স্কুলে আসছেন। একাধিক বার মিটিং করেছেন প্রাক্তন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত থেকে নতুন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি। রাষ্ট্রপতি যেখানে কপ্টার থেকে নামবেন সেখানে হেলিপ্যাড তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘাটালের নতুন মহকুমাশাসক অদীপ রায় বলেন, “বৃষ্টির জন্য আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। যদিও আমরা হেলিপ্যাড-সহ সব কাজই এগিয়ে রাখছি।” |
|
তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড। |
ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের ক্যাম্পাসের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। মূল মঞ্চে ন’জনের মত বসার ব্যবস্থা থাকছে। মঞ্চের মধ্যেই এক পাশে তৈরি হচ্ছে রাষ্ট্রপতির বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বাতানাকুল ঘর। এ সব দেখভাল করছেন পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে মঞ্চে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও থাকবেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি, মহাশ্বেতা দেবী, শুভাপ্রসন্ন এবং স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রণব সামন্ত, সম্পাদক অজিত দে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে ঠিক হয়েছে মঞ্চ থেকে ৩০ ফুট দূরে থাকবেন অতিথি, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী থেকে আমন্ত্রিতরা। জানা গিয়েছে, এই সংখ্যাটি প্রায় সাতশোর কাছাকাছি। যদিও স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দু’হাজার।
নিজেদের স্কুলে রাষ্ট্রপতি আসবেন তাই সবার তাঁকে দেখার ইচ্ছা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছেন, পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মোট ৩০ জন করে পড়ুয়া মঞ্চের সামনে বসার সুযোগ পাবেন। প্রতি ক্লাসে মেধা ভিত্তিক কুড়ি জন এবং স্কুলের শৃঙ্খলা মেনে চলা দশ জন করে ছাত্র-ছাত্রীকে বাছাই করা হবে। বাকিদের জন্য ছ’টি বড় বড় রুমে জায়ান্ট স্ক্রিনে (বড় পর্দা) দেখার ব্যবস্থা থাকছে। |
|
ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলে চলছে মঞ্চ বাঁধার তোড়জোড়। |
স্কুল সূত্রের খবর, ওই দিন রাষ্ট্রপতির স্কুলে বিশেষ কোনও কর্মসূচি নেই। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন যোজনা কমিশন থেকে স্কুলের উন্নয়নে এক কোটি টাকা স্কুলকে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই টাকায় একাধিক বড় বড় বিল্ডিং হয়েছে। মাঠ সংস্কারও হয়েছে। আগের প্রধান শিক্ষক দুলাল কর প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরই দিল্লিতে গিয়ে স্কুলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। সেই কথা রাখতেই আসছেন রাষ্ট্রপতি। বর্তমান প্রধান শিক্ষক প্রণব সামন্ত ও সম্পাদক অজিত দে-এর কথায়, স্কুলের তরফে আমরা রাষ্ট্রপতিকে ৭০০ গ্রাম ওজনের এবং দশ ইঞ্চি লম্বা রুপোর একটি বিদ্যসাগরের আবক্ষ মূর্তি উপহার হিসাবে তুলে দেব।
|
—নিজস্ব চিত্র |
|
|
|
|
|