|
|
|
|
অনূর্ধ্ব-২৫ থেকেও ছাঁটাই ট্রেনার চিন্ময় |
ছোটদের মনোবল বাড়াতে ক্লাস নেবেন সৌরভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জুনিয়র ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘মোটিভেটর’ করে আনা যদি ভাল উদ্যোগ হয়, তা হলে ফিজিক্যাল ট্রেনার চিন্ময় রায়কে নিয়ে বিতর্ক দিন দিন বাড়ছে সিএবি-তে। শুধু সিনিয়র ক্রিকেট থেকে নয়, এ বার অন্যায় ভাবে বাংলার অনূর্ধ্ব-পঁচিশ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল চিন্ময়কে!
আগামী শুক্রবার বাংলার অনূর্ধ্ব-উনিশ ক্রিকেটারদের ক্লাস নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সৌরভকে। আদতে যা ‘মোটিভেশনাল ক্লাস’। গত বছর অনূর্ধ্ব উনিশ বাংলার পারফরম্যান্স একেবারেই ভাল নয়। মনে করা হচ্ছে, সমস্যা যত না ক্রিকেটীয় দিকে, তার চেয়ে বেশি মানসিক। একেবারে জুনিয়র পর্যায় থেকে বাংলা ক্রিকেটারদের মানসিক কাঠিন্য বাড়ানো দরকার। শুক্রবার দু’টো সেশনে ক্লাস হবে অনূর্ধ্ব-উনিশের। একটা নেবেন সৌরভ। অন্যটা মৃত্যুঞ্জয়ী বাংলা অলরাউন্ডার অভীক চৌধুরী। যাঁকে পথ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল চার বছর আগে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে খড়গপুর আইআইটিতে আবাসিক শিবির শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-উনিশ বাংলার। সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলছিলেন, “সৌরভের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হয়েছে আমাদের। ও সম্মতি দিয়েছে।”
উল্টো দিকে, ট্রেনার চিন্ময় রায়কে নিয়ে জটিলতা বুধবার আরও বাড়ল। প্রথমত, তাঁকে অদ্ভুত কারণে সিনিয়র বাংলা থেকে সরিয়ে দেয় সিএবি। মায়ের অসুস্থতার কারণে প্রাক-মরসুম টুর্নামেন্ট থেকে চিন্ময় অব্যাহতি চাওয়ায়। অভিযোগের নিশানা ছিলেন সিএবি-র যুগ্ম সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়। তখন বলা হয়েছিল, অনূর্ধ্ব-২৫ দলের ট্রেনার হিসেবে রাখা হবে চিন্ময়কে। কিন্তু এ দিন অনূর্ধ্ব-২৫ থেকেও চিন্ময়কে সরিয়ে আনা হল রাহুল দেবকে। সুজন বলে দেন, “ওকে এক বছর আমরা বাইরে রাখছি। অসুবিধেটা কোথায়? এ বছরটা আমরা বাকিদের দেখে নিতে চাই। বরং আমরা ওকে একটা রিফ্রেশার কোর্স করতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাঠাচ্ছি।” ঘটনা হচ্ছে, সেই রিফ্রেশার কোর্স শেষ হয়ে গিয়েছে মঙ্গলবারই!
কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, একটা এসএমএস এবং মিডিয়াতে চিন্ময়-অপসারণের ব্যাপারটা বেরোনোর পরই এমন চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটাও বলা হচ্ছে, সিনিয়র ক্রিকেট থেকে অপসারণের পর যে মেসেজ চিন্ময়ের মোবাইল থেকে গিয়েছিল সুজনের কাছে, সেটা নিয়ে পরে ই-মেল লিখিত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন চিন্ময়। ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ওটা তাঁর মেয়ে ভুল করে পাঠিয়ে দেয়। মেসেজে আপত্তিকর কিছু ছিল না। আর ওই একই মেসেজ ময়দানের দু’একজন ক্রিকেটারের কাছেও যায়। কারও কারও বক্তব্য, চিন্ময়ের সঙ্গে যা হল শেষ পর্যন্ত তা অত্যন্ত অন্যায়। চিন্ময়কে ধরা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হলেন না। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, নতুন ছাঁটাইয়ের খবরটা দিতেও বুধবার চিন্ময়কে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয় সিএবিতে। যে অপমানের নাকি কোনও দরকার ছিল না। |
|
|
|
|
|