দিন দুয়েক আগে তিনি বলেছিলেন, ক্লাবের হয়ে আরও এক দশক খেলার রসদ তাঁর আছে। দিন দুয়েক আগে তিনি আরও বলেছিলেন, ক্লাব সতীর্থ রায়ান গিগসকে দেখে দিনের পর দিন ভাল খেলার অনুপ্রেরণা পান। সেই রবিন ফান পার্সিই কিনা এখন তাঁর ক্লাব, মানে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট! না, আরও ভাল করে বললে ক্লাবের নতুন কোচ নিয়ে আশাহত ডাচ তারকা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি যদি ঠিক হয়, তা হলে ডেভিড মোয়েসের কোচিং নীতি নিয়ে একেবারেই খুশি নন ফান পার্সি। তিনি নাকি নিজের বন্ধুবান্ধবদের বলেওছেন, মোয়েসের উত্তরসূরিকে প্রচণ্ড ‘মিস’ করছেন। দাবির সত্যতা নিয়ে অনেকেই নিঃসন্দেহ। কারণ ম্যাঞ্চেস্টারের কিংবদন্তি ম্যানেজার, স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনই এক বছর আগে ফান পার্সি-কে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিয়ে এসেছিলেন। সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি, ম্যাঞ্চেস্টারের হটসিটে নাকি মোয়েসকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ক্লাবের অন্যতম বড় তারকা। |
ফান পার্সি-মোয়েস। কাছে থেকেও দূরে। |
তাঁর ক্লাবের মরসুম খুব ভাল ভাবে শুরু না হলেও ফান পার্সি কিন্তু চলতি মরসুমে যথেষ্ট ভাল ছন্দে। ক্লাবের প্রথম দুটো ম্যাচে দুটো গোল। কিন্তু তার পরের দু’ম্যাচে যেন পাল্টে গিয়েছে ছবিটা। চেলসির সঙ্গে ড্র আর লিভারপুলের কাছে ০-১ হার— দু’বারই কেমন ছন্নছাড়া মনে হয়েছে তিরিশ বছরের স্ট্রাইারকে। বিশেষ করে গত রবিবার অ্যানফিল্ডে বেশ কয়েক বার তাঁকে দেখে মনে হয়েছে এই বুঝি মেজাজ হারাতে চলেছেন।
হঠাৎ কী হল ফান পার্সির? তাঁর এক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বক্তব্য, “রবিন একেবারেই খুশি নয়। আর এ রকম যখন হয়, তখন ও মাঠে সেটা লুকিয়ে রাখতে পারে না। ও মেজাজ হারালে কিন্তু হঠকারির মতো এক-একটা কাজ করে বসে। লিভারপুল ম্যাচেই সেটা বোঝা গিয়েছিল।” কিন্তু কেন খুশি নন ডাচ তারকা? “নতুন ম্যানেজারের সঙ্গে কাজ করতে ওর ভাল লাগছে না। ও ফার্গিকে মিস করছে। ফার্গুসনের সঙ্গে কাজ করতে রবিন ভীষণ ভালবাসত। মোয়েসের কিছু ট্রেনিং টেকনিকও ওর পছন্দ নয়,” ব্যাখ্যা ফান পার্সির বন্ধুর।
|