যখন সতীর্থ ছিলেন। রিয়ালের জার্সি গায়ে ওজিল-রোনাল্ডো। |
শুধু রোনাল্ডোই নন, রিয়ালের একাধিক তারকা ফুটবলারও এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। পর্তুগাল আর স্পেন টিমেও জার্মান ফুটবলারের জনপ্রিয়তা কম নয়। রিয়ালের সহ-অধিনায়ক সের্জিও র্যামোস যেমন। ওজিলের জন্য প্রাক্তন বস হোসে মোরিনহোর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন র্যামোস। গত মরসুমে দেপোর্তিভোর বিরুদ্ধে ম্যাচে বিরতিতে ওজিলকে তুলে নিয়েছিলেন মোরিনহো। প্রতিবাদে নিজের জার্সির নীচে ওজিলের জার্সি পরে বিরতির পর মাঠে নেমেছিলেন র্যামোস। পরিকল্পনা ছিল নিজের জার্সি ছিঁড়ে বন্ধুকে গোল উৎসর্গ করা। স্বভাবতই প্রিয় বন্ধুর ক্লাব ছাড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ র্যামোসও। বলে দেন, “এ রকম একজন ইউনিক আর গ্রেট ফুটবলারের এ ভাবে ক্লাব ছেড়ে যাওয়াটা লজ্জার। আমি হলে ওজিলকে এ ভাবে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে দিতাম না।” শুধু তাই নয়, রিয়ালের হয়ে ওজিলের খেলা শেষ ম্যাচের জার্সি হাতে টুইটারে নিজের ছবি পোস্ট করে র্যামোস লিখেছেন, “তোমার শেষ ম্যাচের জার্সি আমার কাছে সুরক্ষিত থাকবে।”
রিয়ালের আর এক তারকা সামি খেদিরারও ক্লাবের সিদ্ধান্তে আফসোস হচ্ছে। জার্মানির জাতীয় কোচ জোয়াকিম লো তো এ দিন বলেই দিয়েছেন, “এ রকম একজন টপ প্লেয়ারকে কেন বিক্রি করল রিয়াল বোধগম্য হচ্ছে না।” পাশাপাশি মালাগা থেকে এ বার বের্নাবৌয়ে যোগ দেওয়া ফুটবলার ইস্কো বলেন, “আমি তো প্রচণ্ড অবাক হয়ে গিয়েছি। গত সপ্তাহেই ওজিল বলেছিল ক্লাব ছাড়ছে না। সবাই জানে ও কী রকম প্লেয়ার। যে কোনও ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারে।” আর আলভারো অরবেলোয়ার মতে, “ওজিলের এ ভাবে ক্লাব ছাড়াটা শুধু মাঠের ভিতরে নয়, ড্রেসিংরুমেরও বড় ক্ষতি। রবিবার আমাদের সবাইকে বিদায় জানাল ওজিল। আমরা ভাবলাম মজা করছে। সত্যি বিশ্বাস করতে পারিনি।”
সব মিলিয়ে স্প্যানিশ ক্লাবে অশান্তি থামার লক্ষণ নেই। উল্টে বের্নাবৌর বিতর্কের আগুন আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন রিয়ালের সহকারী কোচ পল ক্লিমেন্ট। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যত অর্থেই কেনা হোক না কেন, রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েই বেল প্রথম দলে খেলবেন ধরে নিলে ভুল হবে। বেলকে নিজের জায়গা করে নিতে হবে লড়াই করেই।
|
দগ্ধ রিয়াল |
রোনাল্ডো: ওজিলের রিয়াল ছাড়ার ব্যাপারটা ভাবলেই রাগ হচ্ছে।
র্যামোস: আমি হলে রিয়াল থেকে ওজিলকে এ ভাবে কখনও ছাড়তাম না।
সামি খেদিরা: ক্লাবের সিদ্ধান্তে আফসোস হচ্ছে।
আরবেলোয়া: শুধু মাঠের ভিতরে নয়, ড্রেসিংরুমেরও বড় ক্ষতি। |
|
|