তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার শলপ-১ অঞ্চলের পাকুড়িয়া অঞ্চলে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনাটিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ। তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার দাবি, এই ঘটনার পিছনে সিপিএমের মদত আছে। সিপিএম অবশ্য এই ঘটনায় তাঁদের যোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে তৃণমূলের দুই জেলা নেতার অনুগামীদের এলাকা দখলের লড়াই বলে দাবি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের পর থেকে ওই এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী হতে শুরু করে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তৈরি হয় দু’টি গোষ্ঠী। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনের সময় পর্যন্ত ওই দুই নেতার মধ্যে ‘দাদা-ভাই’য়ের সম্পর্ক ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এই দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। পাকুড়িয়া এলাকায় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী নির্দল প্রার্থী দাঁড় করায়। যদিও সেই প্রার্থী হেরে যান। বুধবার রাতে একটি ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি বাড়িতে। আহত হয় দু’জন। তাঁদের মধ্যে একজন ডোমজুড় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। নাম প্রকাশে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “যাঁদের দেখে রাজনীতিতে এসেছি, তাঁরাই এখন গোষ্ঠীকোন্দলে ব্যস্ত।” |