দুর্নীতি এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার অভিযোগ তুলে আরামবাগের সাঁপড়াজোল হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করল ছাত্রছাত্রীরা। বুধবার এই অভিযোগে ক্লাস বয়কটও করে তারা। ছাত্রছাত্রীদের আরও অভিযোগ, ‘জনপ্রিয়’ এক সহশিক্ষকে অসম্মান করেছেন প্রধান শিক্ষক। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন খাতে প্রাপ্ত তহবিলের যথাযথ হিসাব টাঙিয়ে দিতে হবে স্কুলে। অভিভাবকেরা ঘেরাওয়ে সামিল না হলেও পড়ুয়াদের দাবিকে সমর্থন করেছেন। এ দিন বিকেলে মাদ্রাসা পরিচালন কমিটি বিশেষ বৈঠক ডেকে মিটমাট করে।
প্রধান শিক্ষক রহিম খান বলেন, “অভিযোগ ঠিক ছিল না। অনুশাসন ও সুস্থ পরিবেশ রাখতে গিয়ে হয় তো কখনও কঠিন হতে হয়েছে। সকলকে তা বুঝিয়ে বলেছি। সমস্যা মিটে গিয়েছে।” এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালন কমিটির সম্পাদক নূর আলম বলেন, “প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে, ছাত্র-শিক্ষক সকলের সঙ্গে মিলেমিশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাতে। তহবিল খরচের হিসেবপত্র নিয়ে পরিচালন কমিটি পরে বসবে।” মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, দিন দশেক আগে মাদ্রাসার পরীক্ষায় নবম শ্রেণির এক ছাত্র নকল করার সময় এক শিক্ষক তাকে সতর্ক করেন। সেই ছাত্র পর দিনও একই ভাবে নকল করতে থাকে। ওই শিক্ষক ছাত্রটিকে বকাবকি করে খাতা নিয়ে নেন। পর দিন ছাত্রটির মা স্কুলে এসে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে অশ্রাব্য ভাষায় তিরস্কার করেন। অন্য শিক্ষকেরা প্রতিবাদ করতে গেলে প্রধান শিক্ষক ছাত্রটির মায়ের পক্ষ নেন বলেও অভিযোগ। প্রশান্তবাবু ওই ঘটনার পরে স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। এর জেরে পড়ুয়ারা ক্ষুব্ধ হয়। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। |