কেন্দ্রের বিরোধিতায় বিজেপির চেয়েও চড়া তৃণমূল
র্থিক নীতি, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে অনেক দিন ধরেই আক্রমণ করে যাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু ক্ষোভের আঁচে ঘি পড়েছে দার্জিলিং পাহাড় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও কংগ্রেসের ভূমিকায়। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন উত্তপ্ত করে রেখেছেন তৃণমূল সাংসদরা।
তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের ঘোষণা হতেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নতুন উদ্যমে গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। জিটিএ-র কাজকর্ম শিকেয়। এরই মধ্যে মোর্চা নেতাদের দিল্লিতে গিয়ে দরবার করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সিদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন আবার কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লিতে মোর্চা নেতাদের সঙ্গে কথা বলায় বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংসদের বাদল অধিবেশনে তার আঁচ ভাল রকম টের পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে খাদ্য সুরক্ষা থেকে জমি বিল সরকারের আনা বিভিন্ন বিলের বিরুদ্ধে সংসদীয় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে তৃণমূল।
এ বারের অধিবেশনে কার্যত প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-র থেকেও চড়া সুরে মনমোহন সরকারের ধারাবাহিক বিরোধিতা করে গিয়েছে মমতার দল। আজ লোকসভায় পেনশন বিলের তীব্র সমালোচনা করে ভোটাভুটি চায় তৃণমূল। এবং সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তারা। অন্য দিকে রাজ্যসভায় জমি বিলের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান।
গোড়া থেকেই পেনশন বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন মমতা। সৌগত রায় আজ সংসদে সবিস্তার বলেন, কেন তাঁরা বিলটির বিরোধিতা করছেন। তাঁর অভিযোগ, “আম-জনতার অর্থকে বাজারে আনা এবং পেনশন তহবিলকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পেনশন তহবিলে ২৬ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন। আমরা বুঝতে পারছি না কেন এই ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ আনা হচ্ছে? এতে লাভ কী হবে? আমরা এর ঘোরতর বিরোধিতা করছি। এক দিকে বিল বলছে, পেনশন তহবিল বাইরে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, অথচ সেই ক্ষেত্রেই বিদেশি বিনিয়োগ টানা হচ্ছে।”
পরে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা চান তাঁদের গোটা জীবনের পরিশ্রমের অর্থ যেন সুনিশ্চিত জায়গায় থাকে। কিন্তু এই বিলে যে ভাবে তহবিল তৈরি হচ্ছে তাতে নিরাপত্তা থাকছে না।” তহবিলে বিদেশি বিনিয়োগেরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
লোকসভায় পেনশন বিলের মতো এ দিন রাজ্যসভায় জমি বিল নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। ডেরেকের কথায়, “সরকার যে ভাবে জমি বিলটি এনেছে তা কৃষকের জন্য, শিল্পের জন্য এবং দেশের জন্য ভাল নয়। আমরা এর বিরোধিতা করছি।” জমি বিল নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানের ব্যাখ্যা করে ডেরেক বলেন, “কিছু কিছু মহলে উদ্বেগ রয়েছে কর্পোরেট সংস্থাকে সরাসরি জমি বিক্রি করতে পারার ক্ষমতা কৃষকের রয়েছে কি না। সামান্য সাহায্য এবং সামান্য পথপ্রদর্শন করলে অবশ্যই তারা তা পারবেন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.