টুকরো খবর |
অভাব পর্যাপ্ত চিকিৎসকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিৎসক নিয়োগ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে মঙ্গলবার রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিল জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি। হাসপাতালের সুপার এ দিন বাইরে থাকায় দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসক স্মারকলিপি নিয়েছেন। রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যার চিকিৎসকের অভাব দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে স্থায়ী শল্য চিকিৎকের অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যায় ভুগছেন এলাকার রোগীরা। অনেকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটির তরফে সোমনাথ কৈবর্ত, মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়, শসীম নন্দীদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে শল্য চিকিৎসকের অভাবের পাশাপাশি সম্প্রতি যোগ হয়েছে বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক না থাকার সমস্যা। ফলে, সামান্য কারণেই এখান থেকে রোগীদের রেফার করে দেওয়া হয় অন্য হাসপাতালে। হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধ সরবরাহ, রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়েছে কমিটির তরফে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
|
রোগী-মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
চিকিত্সার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের এই ঘটনায় মৃতের নাম স্নিগ্ধা সাহা (১৭)। হাসপাতালের নার্সদের বিরুদ্ধেও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ জানিয়েছে মৃতার পরিবার। হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দত্ত বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ” হাসপাতাল ও মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, কালীগঞ্জের আকন্দবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা স্নিগ্ধা সোমবার রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে শক্তিনদর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ছাত্রীটির বাবার অভিযোগ, “রাতে ইঞ্জেকশন দেওয়ায় মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। নার্সকে বারবার ডাকা সত্ত্বেও তাঁরা গ্রাহ্য করেননি।” এ দিন হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁদের সামনেও বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিজনরা। তবে রোগীমৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি দফতরের কর্তারা।
|
চিকিৎসাকেন্দ্রে বিক্ষোভ, ঘেরাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
ওষুধ না মেলা-সহ নানা অভিযোগে আইএনটিটিইউসি-র নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন শ’খানেক খনিকর্মী। মঙ্গলবার নিউ কেন্দা কোলিয়ারির চিকিৎসাকেন্দ্রে ডাক্তারকে ঘেরাও করেন তাঁরা। ওই সংগঠনের কোলিয়ারি সম্পাদক পার্থ ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, এই চিকিৎসাকেন্দ্রে দীর্ঘদিন রোগীরা ওষুধ পাচ্ছেন না। এক জন চিকিৎসক। তিনি সকাল সাড়ে ৯টায় এসে ঘণ্টাখানেক থেকে বাড়ি চলে যান। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ কোলিয়ারির এজেন্ট সোমনাথ সিংহ ঘটনাস্থলে যান। তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
|
ফেরাল পিজি |
টানা ১৩ ঘণ্টা এসএসকেএম-এর ইমার্জেন্সির সামনে পড়ে থেকেও চিকিৎসা জুটল না এক রোগিণীর। সিঙ্গুরের বাসিন্দা জন্ডিসে আক্রান্ত চন্দনা দাস (৩৫) সোমবার রাতে বাড়িতে খাট থেকে পড়ে মাথায় চোট পান। অভিযোগ, এসএসকেএম-এর চিকিৎসেকরা তাঁকে না দেখেই পর দিন সকালে আসতে বলেন। মঙ্গলবার ইমার্জেন্সি, আউটডোর ঘুরেও চিকিৎসা জোটেনি তাঁর। শেষ পর্যন্ত নিউ ক্যাজুয়ালটি ব্লকের সামনের সিঁড়িতেই জ্ঞান হারান তিনি। চন্দনার মা সুন্দরী দাসের অভিযোগ, “স্ট্রেচার বা ট্রলি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সিতে তুলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। মেয়েটা বাঁচবে কি না জানি না।” এসএসকেএমের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে ট্রলি বা স্ট্রেচার না পাওয়ার কথা নয়। কেন এমন হল খোঁজ নিচ্ছি।” |
|