|
|
|
|
গাঁধী পরিবারকে আলাদা করে দেখাচ্ছি না
‘ম্যাড্রাস কাফে’ বানিয়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন পরিচালক সুজিত সরকার।
আপাতত ছুটি কাটাতে কলকাতায়।
তবে সাফল্যের কোনও সেলিব্রেশন করবেন না। কারণ
ছবির বিষয়টা
খুব স্পর্শকাতর। পরিচালকের সঙ্গে কথা বললেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
|
কলকাতাতে এসেছেন। কংগ্রেসের কোনও যুব নেতাকে ‘ম্যাড্রাস কাফে’ দেখাবেন?
দশ দিন কলকাতাতে থাকব। খুব ক্লান্ত আমি। ঘুম উড়ে গিয়েছিল। তবে কংগ্রেসের কোনও নেতাকে আলাদা করে ছবিটি দেখাব না। আমি রাজনীতি করি না। কোনও রাজনৈতিক দলের কথা ভেবে ছবিও বানাই না।
প্রিয়ঙ্কা বা রাহুল গাঁধীর জন্য কোনও স্ক্রিনিং করবেন না?
না, না। ওঁরা নিজে থেকে ফিল্মটা দেখতেই পারেন। কিন্তু আমি আলাদা করে কোনও স্ক্রিনিং করছি না।
রিসার্চের জন্য শ্রীপেরুমবুদুরে কোনও দিন গিয়েছেন?
না। আমি তো কাল্পনিক গল্প বলেছি। কেন যাব ওখানে?
অনেকের ধারণা যে দাড়িওয়ালা ভদ্রলোকটিকে ‘ম্যাড্রাস কাফে’তে দেখা গিয়েছিল তাঁর চেহারার সঙ্গে ইচ্ছে করেই নাকি গডম্যান চন্দ্রস্বামীর মিল রেখেছেন আপনি...
না, আমরা ও ভাবে কিছু প্ল্যান করিনি। কাল্পনিক কিছু মানুষকে নিয়ে গল্পটা লেখা। স্ক্রিনপ্লে-টা লিখেছে সোমনাথ দে আর শুভেন্দু ভট্টাচার্য।
সব চরিত্র কাল্পনিক হলেও জাফনার নাম, মানব বোমা, এমনকী হত্যার পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্পোর্টস জুতো— সব কিছুর সঙ্গে তো বাস্তবের অনেক মিল...
আমি ঘটনাটাকে ধরতে চেয়েছি। কিন্তু আমি যা বলেছি ফিল্মে সেটাই হয়েছে তা দাবি করছি না।
ছবিটা করতে গিয়ে সব থেকে বড় সমস্যা কী হয়েছিল?
সেন্সর পর্যন্ত একটা ঝুঁকি ছিল। তবে একবার সেন্সর পাশ করে দিলে ভয়টা কমে। কিছু হলে বলতে পারি যে সেন্সর তো কোনও কাট ছাড়াই ক্লিয়ার করেছে। প্রশ্ন থাকলে সেন্সরকে জিজ্ঞেস করুন। অ্যান্টিটেররিস্ট স্কোয়াডের মিস্টার বিদ্দা দেখেছিলেন ছবিটি। বলেছিলেন, “কোনও সমস্যা নেই।” একটা কথা মনে রাখবেন, যে কোনও দেশে স্পাই নিয়ে সিনেমা বানাতে গেলে একটা ধরাবাঁধা ফর্মুলা থাকে। কেউ একজন তথ্য ফাঁস করবেন। সরকারের তরফে একটা ভুল ডিসিশন হবে। আর একজন শকুনের মতো বসে থাকবে ফায়দা লোটার জন্য। ফর্ম্যাটটা সমান। পরিচালক কী ভাবে তা ট্রিট করেছেন সেটাই দেখার।
এই ছবিতে আপনার ট্রিটমেন্টের বৈশিষ্ট্য কী?
আমার বাবা এয়ারফোর্সে ছিলেন। আমি তো এনডিএ-তে জয়েন করার পরীক্ষা দিয়েছিলাম। কিন্তু চান্স পাইনি। না হলে আজ আর্মিতে থাকতাম। এর আগেও আমি যুদ্ধ নিয়ে ‘ইয়াহাঁ’ বানিয়েছি। তবে ‘ম্যাড্রাস কাফে’-তে মেলোড্রামা, গান আর প্রেমের সাবপ্লট রাখিনি। ফিল্মটা বানানোর ক্ষেত্রে সব থেকে কঠিন ছিল গৃহযুদ্ধকে নতুন করে ফুটিয়ে তোলা। ফুটেজ ব্যবহার করেছি ইচ্ছে করে। কিছু শু্যট করেছি। মিস্টার বচ্চন ছবিটা দেখে আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী করে জাফনাটা তৈরি করেছিলাম। আমাকে বললেন, “একদিন বাড়িতে আসিস চা খেতে। তার পর বসে আরও গল্প করব।” ওঁর সব থেকে ভাল লেগেছে যে আমি কী ভাবে ছবি তৈরির ঘরানাটা পাল্টে ফেলেছি। ‘ভিকি ডোনর’ করলাম। আর তার পর এই ফিল্মটা।
উনি জিজ্ঞেস করেননি রাজীব গাঁধীর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে কেন এই ভাবে ফিল্মটা বানালেন?
না। এই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি। |
সুজিত সরকার |
এক সময় দিল্লিতে আপনি অনেক রাজনৈতিক নাটক করতেন। মনোজ বাজপেয়ী, পীযূষ মিশ্র আর আশিস বিদ্যার্থীকে নিয়ে একটা দল ছিল আপনার। সফদর হাসমির দলে কিছু দিন কাজ করেছেন। সিনেমাতে রাজনৈতিক নাটকের সেই ধারাটা আনতে পেরেছেন কি?
ডিসিপ্লিনটা ওখান থেকেই এসেছে। আমার বেড়ে ওঠাটাই তো থিয়েটার থেকে। আমার তিনটে ছবিতেই অল্পবিস্তর সেটা ফুটে উঠেছে।
তবু বলা হয় যে আমাদের দেশে এখনও সে ভাবে রাজনৈতিক ছবি বানানো হয় না...
কথাটা আংশিক সত্য। এক সময় মৃণাল সেন বানিয়েছিলেন। প্রকাশ ঝায়ের ‘দামুল’ দারুণ লেগেছিল। গোবিন্দ নিহালনির ‘পার্টি’ও রাজনৈতিক ছবি হিসেবে বেশ ভাল। তবে হ্যাঁ, আজকাল আর এই ধরনের ছবি অত হয় না। কেউ সাঁকো নাড়াতে চায় না। সেফ খেলতে চায়।
কেউ কেউ বলছেন আমাদের পরিচালকেরা বিতর্ক আর সেন্সরশিপের ঝামেলায় এত বেশি জড়িয়ে পড়েন যে রাজনৈতিক ছবি বানাতে হলে ‘ম্যাড্রাস কাফে’র মতো করে বানানোটাই হচ্ছে সব চেয়ে ভাল উপায়। যেখানে নামগুলো খানিকটা পরিবর্তিত, কিন্তু তা সত্ত্বেও দর্শকদের বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না কাদের কথা বলা হচ্ছে। সেন্সরশিপ না থাকলে ছবিটা অন্য ভাবে বানাতেন?
কাজে হাত দিলে আধখ্যাচড়া ভাবে সেটাকে শেষ করি না। আমি এও জানি ছবিটা অসাধারণ একটা ফেস্টিভ্যাল ফিল্ম নয়। সে ভাবে ছবিটা বানাইওনি। চিত্রনাট্য লিখেছিলাম ২০০৭-এ। তবে ছবিটা সত্যি ঘটনার আধারে বানানো নয়। এটা বলতে পারি এ দেশে আরও সহিষ্ণুতা দরকার। যেটুকু দেখিয়েছি তাতেই ছবিটা তিন জায়গায় ব্যান হল।
ব্যান মানে?
ব্যান বলাটা ঠিক নয়। কোনও কোনও প্রদর্শক হলে ছবি দেখাননি। চেয়েছিলাম ছবিটা গোটা বিশ্বে একসঙ্গে মুক্তি পাক। কিন্তু তা হল না। সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়ায় এক সপ্তাহ পরে মুক্তি পেয়েছে। কানাডায় তামিল প্রিন্টটা মুক্তি পায়নি। আর ইউকে-তে তো এখনও দেখানোই হয়নি। মুক্তি পায়নি তামিলনাড়ুতেও। যদিও শ্রীলঙ্কায় রিলিজ হয়েছে।
ভাবতে কি অদ্ভুত লাগছে যে তামিলনাড়ুতে যেতে হয়তো আপনার ভিসা লাগতে পারে। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় যেতে কোনও অসুবিধে হবে না...
অদ্ভুত তো লাগছেই। কিন্তু আমি চেন্নাই যাব। ছোটবেলার অনেক বন্ধুই তামিলনাড়ু থেকে।
ইংল্যান্ডেও সমস্যা?
ফিল্মের ডিস্ট্রিবিউটরকে বলা হয়েছে যে ওটা দেখালে যদি থিয়েটারের বাইরে ডিস্টারবেন্স সৃষ্টি হয় তাই ওরা দেখায়নি। যাঁরা ভয় পেয়েছেন, তাঁরা হয়তো ভেবেছেন যে এমন কাউকে তাঁরা চেনেন যাঁরা এই ফিল্মটা দেখে দুঃখ পেতে পারেন। তবে আমরা এখনও হাল ছেড়ে দিইনি।
আনন্দবাজার পত্রিকার সমালোচনায় বলা হয়েছিল আমাদের দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশনের হয়ে শ্রীপেরমবুদুরে পাওয়া দশটা ফ্রেম দেখে মানববোমার রহস্যভেদ করতে সাহায্য করেছিলেন। আপনার রিসার্চে কি এটা ছিল?
না, আমি ওটা সমালোচনা পড়ে জানতে পারি।
আচ্ছা, গোটা ফিল্ম জুড়ে এলটিটিই এবং র’এর নিজস্ব ঝামেলা নিয়ে কিছু বক্তব্য থাকলেও, সেখানে একটা বিষয় একদম এড়িয়ে গিয়েছেন। তা হল শ্রীলঙ্কাবাসীদের কী ভূমিকা ছিল যখন তাঁরা ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দ্বীপের উত্তর দিকে শান্তি রক্ষা করার জন্য....
দেখুন, আমি ফিল্মটা তো মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য বানাইনি।
সেটাই কি একমাত্র কারণ? নাকি এই ভয়ও ছিল যে ওটা স্ক্রিপ্টে ঢুকলে আরও বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে বা গল্পটা আরও ছড়িয়ে যাবে?
লোককে রাগানোর ইচ্ছে আমার কখনওই ছিল না। একটা গল্প বানাতে চেয়েছিলাম। ছবির রিসার্চের জন্য প্রধান কৃতিত্ব যাঁদের, তাঁরা হলেন রনি লাহিড়ি, সোমনাথ দে, শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুষার জৈন আর জুহি চতুর্বেদী। এঁরাই ছবির পাঁচ নায়ক।
আর জন আব্রাহাম?
ও তো ছবির একটা চরিত্র। সিনেমার আসল নায়ক হল বিষয়, যেখানে দেখানো হয়েছে কী ভাবে জনের চরিত্রটা একটা গণ্ডগোলে আটকে পড়ে। চার-পাঁচটা বড় স্টুডিয়োকে ফিল্মটা প্রযোজনা করতে বলেছিলাম। তার মধ্যে কেউ কেউ ছবিটি বুঝতেই পারেননি। বিতর্ক নিয়ে সমস্যা ছিল না। ওঁরা নিশ্চিত ছিলেন না যে এই
রকম ফিল্মের দর্শক আমাদের দেশে আছে কি না। আমাদের দেশের অসুবিধা হল আমরা দর্শককে খুব আন্ডারএস্টিমেট করি। মানুষকে নতুন কিছু না দিলে কী করে বুঝব যে তাঁদের সেটা ভাল লাগবে কি না। প্রথমেই কেন বলে দেব যে ওটা চলবে না? আমি একটা নতুন ধরনের ফিল্ম বানিয়েছি। জনকে বলেছিলাম প্রযোজক হতে। ও রাজি হল ফিল্মটা করতে। ফিল্মে অ্যাকশন আছে। কিন্তু এ ভাবে যুদ্ধ তো আমাদের সিনেমায় দেখানো হয়নি। আমার নায়ক ব্যর্থ। সব দিক থেকেই।
কে বেশি সাহসী? প্রযোজক জন, নাকি অভিনেতা জন? তিনি তো ইরফান বা মনোজ বাজপেয়ীর মতো অভিনেতা না হয়েও এই রকম একটা চরিত্র করার সাহস দেখালেন...
বেশি সাহসী হলেন প্রযোজক জন। অভিনেতা জন পুরোটাই নিজেকে সমর্পণ করেছিল আমার কাছে। তবে এটাও ঠিক বলিউডে যে যত বড় স্টার হোন না কেন, তিনি তাঁর পোর্টফোলিওতে চান ভাল কিছু ছবি। সব কিছু তো পয়সার জন্য হয় না। |
জন আব্রাহাম |
ইতিমধ্যে এ আর রহমান ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’ গাইলেন। আপনি জনকে দিয়ে ‘হোয়্যার দ্য মাইন্ড...’ বলালেন। কিন্তু সিনেমাতে জনের চরিত্রে তো কোনও উত্তরণ ঘটে না। তা হলে কেন ওঁর মুখে ওই কবিতা?
পনেরো বছর ধরে অপেক্ষা করেছি এই কবিতাটা ব্যবহার করার জন্য...
সুজয় ঘোষ ‘কহানি’তে ‘একলা চলো রে’ ব্যবহার করলেন। আপনি ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’। এটা কি বলিউডের বাঙালি/টেগোর কানেকশন?
টেগোর কানেকশন তো আছেই। প্রথমে ফিল্মের জন্য ভেবেছিলাম মহাত্মা গাঁধীর ‘আই ফর অ্যান আই মেকস আ নেশন ব্লাইন্ড’টা ব্যবহার করব। তার পর মনে হলনা। আমার কথা হল জনের চরিত্র এমন একজন মানুষের প্রতিনিধি যিনি নির্ভীক ভাবে চেষ্টা তো করেছিলেন। এটা আলাদা কথা যে উনি শেষ পর্যন্ত ট্র্যাজেডিটা আটকাতে পারেননি। এত বছর নিজের ভেতরে সেই দুঃখটা চেপে রেখেছিলেন। নিজের হাতে সব প্রমাণ ছিল না যা দেখে বলা যেত যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে মারার পেছনে একটা ষড়যন্ত্র কাজ করেছিল। কিন্তু তবু উনি সাহস করে পুরো ঘটনাটা এক পাদ্রিকে বলতে পেরেছিলেন। এটাও তো একটা সাহসের লক্ষণ।
জন আর নার্গিসের মধ্যে হালকা একটা প্রেমের সম্পর্ক দেখানোর জন্য চাপ ছিল কি? তিনটে গান তো তৈরি করেছিলেন শান্তনু মৈত্র...
গানগুলো অ্যালবামে রয়েছে। শান্তনু কি অসাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করেছে। আমি ওকে বলেছিলাম যে দ্যাখ ভাই আমার ছবিটা একদম শুষ্ক বাস্তব। মেলোড্রামা নেই। সেখানে তুই মিউজিক দিয়ে আবেগে ভরিয়ে দে। কী সূক্ষ্ম কাজ করেছে!
ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে কলকাতার প্রত্যূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকট্রনিক সরোদটাও তো বেশ ব্যবহার করেছেন শান্তনু....
হ্যাঁ। যখন জনের বৌ মারা যায় তখন ও একটা দশ মিনিটের পিস বাজিয়েছিল ইলেকট্রনিক সরোদে। দারুণ ইমপ্যাক্ট।
নার্গিস ফখরি গোটা ছবিতে ইংরেজিতে কথা বলে গেলেন। আর তার উত্তরে জন কথা বললেন হিন্দিতে। একটা লাইনও কি নার্গিসকে দিয়ে হিন্দিতে বলানো যেত না?
ওটা ছিল শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্ত। নার্গিস হিন্দিতে কথা বললে ওর পারফরম্যান্সের ফোকাসটা চলে যাচ্ছিল। তাই ওকে আমি বলেছিলাম ইংরেজিতে কথা বলতে। পরে বুঝেছি যে ওটা কানে লেগেছে।
একজন সাংবাদিক কখনওই তাঁর সোর্সের পরিচয় প্রকাশ করেন না। নার্গিস এটার ব্যতিক্রমী হবেন না?
নার্গিসের সোর্স যখন জনের সঙ্গে দেখা করে তখন ও বলে যে ও সাহায্য করে একমাত্র এটা জেনে যে জন ওই কেসটা হ্যান্ডেল করেছে। সিনেম্যাটিক স্বাধীনতা আমি নিয়েছি ঠিকই। তবে ন্যাশনাল থ্রেট হলে আমার মনে হয় এক জার্নালিস্ট হয়তো এই রকম সাহায্য করতেই পারে।
ব্যাংককের কিছু দৃশ্যে নব্বই দশকের গোড়ার দিক তুলে ধরা হয়েছে। অথচ সেখানে দেখানো হয়েছে হালফিলের গাড়ি চলছে রাস্তায়...
ওটা ভুল হয়ে গিয়েছে। |
|
শ্রীপেরুমবুদুরের এখানেই
২১ মে ১৯৯১,
রাত ১০টা ২১ মিনিটে মানব বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়
রাজীব গাঁধীর |
|
সিদ্ধার্থ বসু, পীযূষ পাণ্ডে, অরিজিৎ দত্ত থেকে প্রকাশ বালওয়াড়ি— সব পার্শ্বচরিত্রই তো বেশ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন...
একদম। আমি সারা ভারত জুড়ে কাস্টিং করেছি। প্রকাশ (যিনি বালার চরিত্রটি করেছেন) তো বেঙ্গালুরুর থিয়েটার অভিনেতা আর পরিচালক। এক সময় সাংবাদিক ছিলেন। জাফনার ঘটনা সম্পর্কে জানতেন। কে বলবে এটা ওর প্রথম ফিল্ম?
ডিস্ট্রিবিউশনে সুবিধের জন্য নিশ্চয়ই আপনি অরিজিৎকে নেননি?
একদমই না। চরিত্রতে দারুণ মানিয়ে গিয়েছে অরিজিৎ। চেয়েছিলাম এমন একজন যিনি ইন্টেলেকচুয়াল দেখতে। তবে ঘটনাচক্রে জঙ্গি হয়ে গিয়েছেন।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কোন চরিত্রটি করার কথা ছিল?
সেই চরিত্রটা আর নেই। র’ এর এক অ্যাডিশনাল ডিরেক্টরের চরিত্র ছিল।
আপনি কি জানেন যে দক্ষিণ কলকাতায় ‘ম্যাড্রাস কাফে’ কেবল চ্যানেলে দেখানো হয়েছে?
হ্যাঁ। শুনেছি। পাইরেসির থ্রেট রয়েছে। অনেক চেষ্টা করছি আটকানোর!
আপনি অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ছবির অ্যাকশন দৃশ্যগুলো পরিচালনা করবেন?
টোনি (অনিরুদ্ধ) আমার বন্ধু। বলেছি আমি ওর সঙ্গে থাকব।
পরের কাজ শুরু করেছেন?
জুহি আর আমি মিলে একটা ফ্যামিলি ড্রামা লিখেছি। ওটা শেষ হলে ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’য়ের হিন্দি চিত্রনাট্যটা শুরু করব। ওটা প্রসেনজিৎ আর আমি মিলে প্রযোজনা করব। এক সময় ফুটবল খেলতাম। একটা স্পোর্টস নিয়ে ছবি বানাতে চাই।
‘ভিকি ডোনার’য়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার, ‘ম্যাড্রাস কাফে’র জন্য এত প্রশংসা। কী ভাবে সেলিব্রেট করছেন? ‘শ্যু বাইট’ মুক্তি না পাওয়ার ক্ষততে কি একটু মলমের প্রলেপ পড়েছে?
‘ম্যাড্রাস কাফে’ নিয়ে কোনও সেলিব্রেশন করব না। এত সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে ছবি বানিয়ে সেলিব্রেট করা যায় না। আর ‘শ্যু বাইট’? ওটা নিয়ে এখন আর আমি ভাবিই না। |
|
|
|
|
|